মান্তি
শির শির বহে নদী ঠাণ্ডা তেমন পড়ে নাই
জোরেটানো বৈঠা, পালে বায়ু লাগে নাই।
এই বাঁকটা পার হলে পড়বে কামার গাঁ
খোলের পানি টুবু—টুবু নৌকা চলে না।
কুয়াশার ভেতর দিয়ে চলে আধিয়া
আযানের সুর শুনে চলছে টাবুইরা।
চারের বাঁশ উঁচু করে পার করলাম নাউ
বেপারি বাড়ির আগারিতে বড় বড় দেও
মান্তি দেয়া নারকেল ফেলি ঢেউয়ের তালে
জলি দুধ ঢেলে দিলাম- আগারির জলে।
মানতগুলো ছড়িয়েছে রাতের বাতাসে
দুই তার এক হলো ভাই ভরা—ভাদরে।
জ্যোৎস্না ফুল
বাইরে কোন অন্ধকারে শিশির পড়া শব্দ
মন পাখিটা ভিজে যায় লেবুফুলের গন্ধ।
এঁটেল মাটির পথটা ধরে এগিয়ে চল্লাম
পরাণের মেঘ—বালিকা হারিয়ে ফেল্লাম।
সিরিস পাতার ভেতর দিয়ে আকাশ দেখি
নিঝুম রাতে জ্যোৎস্না ফুলের ঘ্রাণ মাখি।
দুখঃগুলো জমা হলো সবুজ দূর্বা ঘাসে
মনপাহিয়া ডুব দেয় কাজল রেখা জলে।
কষ্টটুকু গলার কাছে যেন জোড়ের ভাই
হৃদকমলে ছুঁয়ে গেলো চাঁদের রসনাই।