আর্টওয়ার্ক: নগরবাসী বর্মন
অনিমেষ চোখ বন্ধ করে বসে আছে। কপাল ঈষৎ কুচকানো। ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও শাহাদাৎ আঙ্গুল ভ্রু-যুগলের সন্ধিস্থানে থেরাপি দিচ্ছে। পা দুটো লম্বা করে মেলানো। পায়ের কাছেই বসে আছে পল্লবী। শরীরে চলমান ইস্টিমারের মতো কম্পন। চোখে আগুনের ফুলকি। ঘৃণায় গা ঘিনঘিন অবস্থা। রোষানল দাহে গা জ্বলে যাচ্ছে। ক্রোধ আয়ত্ত্বে এনে সবেমাত্র কথার ফোড়ন কাটলো পল্লবী।
— ‘ছি! নিজের উপর ক্রোধ হচ্ছে আমার। আমি শেষমেশ! কথা আটকে গেল কান্নায়। তারপর আবার বললো, আমি শেষমেশ এক চরিত্রহীনের সাথেই জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিলাম! একবারও সামনে বসা মানুষটাকে আপাদমস্তক যাচাই করে দেখার প্রয়োজন মনে করলাম না!’ পল্লবীর কণ্ঠে রাজ্যের আফসোস!
এতক্ষণে অনিমেষ নিজেকে নিয়ে ভাববার অবকাশ পেল। সে ভাবছে-‘সত্যিই কেন এত অশালীন রুচি ছিল আমার চোখ দুটোয়? কেন আমার মনে সারাক্ষণ একটা নারীর মাংসপিণ্ড ভেসে বেড়াত? কেন আমার কিশোর বয়সী চরিত্রটা এতটা নোংরামির কাছে পর্যুদস্ত হত? কেন নারীর পবিত্র বদনে, হাসিতে স্বর্গ খুঁজতাম না? কেন আমি নারীর সমস্তজুড়ে শুধু পাশবিক তৃপ্তি খুঁজে বেড়াতাম? কেন এমন ছিলাম না, যেমনটা এখন আছি?’মুহুর্তেই ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত ঘটনার বেগ থেকে কিছুতেই সে তার বর্তমান স্বচ্ছ মানসিকতার স্বরূপ অপ্রচ্ছন্ন করে মানুষের চক্ষুগোচর করতে পারছে না। একটা পাহাড়সম উচ্চতার আবডাল থেকে কিছুতেই নিজেকে বের করতে পারছে না সে। নিজের বর্তমান স্বচ্ছতা নিজের ভিতরেই বিষিয়ে উঠছিল যেন। কারো কর্ণযুগলই এখন বুঝি তা শোনার জন্য প্রস্তুত নেই।
টিভিসেটের সামনে বসে আছে তিথি ও তার মা। দুজনেই উৎসুক দৃষ্টিতে একটা গানের অনুষ্ঠান উপভোগ করছিল। গান যিনি গাইছেন তাকে তিথির পরিবারের সবাই খুব ভাল করেই চেনে। এই প্রথম কোনো টিভি অনুষ্ঠানে তিথি তার স্যারকে দেখতে পেল। আনন্দে হাসির ঝিলিক উছলে পড়ছে তার ওষ্ঠাধরের সবটুকু জুড়ে। তিথি ও তার মা দুজনেই সবগুলো গান শুনল স্বচ্ছ অভিনিবেশ দিয়ে।কিন্তু একটা বিষয়ে তিথি কিছুটা থমকে গেল। অনুষ্ঠানের মাঝখানে, ‘প্রেম করেছেন কিনা কারো সাথে?’ উপস্থাপিকার এই প্রশ্নের জবাবে অনিমেষ বলেছিল, এখন যার সাথে সে সঙ্গী হিসেবে জীবন কাটাচ্ছে তার সাথেই তার প্রণয় ছিল। এতকিছু তিথির মাথায় ধরছে না, তার স্যার ‘বিবাহিত’ শুধু এটা শুনেই সে কেমন জানি মিইয়ে গেল।তিথিকে শুধুমাত্র দেখতে মন্দ নয় বললে, যেকোন লোকের মস্তিষ্ক সংকীর্ণ বলে মনে হবে। তারচেয়ে বরং এভাবে বলা যায়, তাকে দেখলে নির্নিমেষ তাকিয়ে থাকতে থাকতে যে কোনো পুরুষ খেই হারিয়ে ফেলতে বাধ্য হবে। অনিমেষ তিথিকে প্রায় বছর পাঁচেক পড়িয়েছিল। তিথি অনিমেষকে চোখের সামনে সবসময় যতটা না দেখত তারচেয়ে বেশি মুগ্ধ হয়ে শুনত। ধীরে ধীরে তিথির কাছে তার স্যারকে ভাল লাগতে শুরু করে। এতটা স্বচ্ছ চিন্তাধারার মানুষ সে আর এত সহজে যাচাই করার সুযোগ এই জীবনে হয়তো পাবে না!এত বছর তিথির মনের মধ্যে লালন করা একটা প্রণয়ের পুষ্প মুহুর্তেই যেন ঝরে পড়ল। তিথি তার ঘরে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ল।
পরদিন সকালে তিথি জিনিয়াদের বাসায় গেল। জিনিয়া তিথির পরিচিত বড় বোন। আগে একই বাসায় ছিল তারা। সেখান থেকেই ভাব।জিনিয়াকেও অনিমেষ পড়াতো। হয়তো বা জিনিয়া স্যারের বিয়ের ব্যাপারে কিছুটা জেনে থাকবে এই আশায়ই সে জিনিয়ার কাছে গেল। গিয়ে সত্যিই কিছুটা না, সবকিছুই জানতে পারল সে। অনিমেষ যাকে বিয়ে করেছে তাকেও নাকি তিথি দেখেছে। জিনিয়া নাম বলার আগেই তিথি বলে উঠলো,
-ওহ! চিনতে পেরেছি। মেয়েটার নাম পল্লবী, না?
-হু..।
-তাকেও তো স্যারই পড়াতো।
-হ্যাঁ, ঠিক ধরেছ।
তিথি জানতে পারল, এই মেয়ের সাথে সম্পর্ক এবং বিয়ে সবকিছুতেই নাকি জিনিয়ার অবদান ছিল। এক বুক চাপা কষ্ট নিয়ে বাসায় ফিরে গেল সে। হঠাৎ তার মনে পড়ে গেল, যখন সে ক্লাস এইটে পড়তো, তখন নাকি তার স্যার তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল। তিথি সঙ্গে সঙ্গে রাগে ক্ষোভে বারুদের মতো জ্বলে উঠেছিল। এদিকে অনিমেষ হঠাৎ এমন একটা বাজে প্রস্তাব দিয়ে লজ্জায় অবনত হয়ে ছিল বেশ কিছক্ষন। এই ঘটনা তিথি যেন কাউকে না বলে অনিমেষ খুব করে অনুরোধও করেছিল। অনিমেষের প্রতি তার কিছুটা ভাললাগা আগে থেকে ছিল বলে সে এটা কাউকে বলেনি।তবে এই ঘটনার প্রায় একবছর তিথি তার স্যারের সাথে আগের মতো তেমন কথা বলত না। হাসত না। শুধু যেন পড়তে বসা প্রয়োজন বলে বসছে। নয়তো সামনেও আসত না, ভাবটা এমন। কিন্তু সেই একটা বছর অনিমেষ অনেক ইনিয়ে বিনিয়ে তিথিকে বুঝানোর চেষ্টা করেছে যে, সে এই জীবনে আর কখনো এমন চিন্তা মাথায় আনবে না, কোনো মেয়ের দিকেই বিষাক্ত দৃষ্টি ছুঁড়ে দিবে না। এবং অনিমেষের আচার-আচরণ, কথাবার্তায় তিথি বুঝতে পেরেছিল, তার স্যারের সত্যিই খুব পরিবর্তন হয়েছে। এরপর তিথি যেন আরও বেশি ঝুঁকে পড়লো অনিমেষের দিকে। অনিমেষকে তিথির পরিবারের সবাই খুব বিশ্বাস করত এবং পছন্দও করত। এই ভরসাতেই তিথির আশা বেড়ে যাচ্ছিল দিনকে দিন। সে বিশ্বাস করে নিয়েছিল যেন সহজেই এই মানুষটাকে পাবে সে।কিন্তু এই মুহুর্তে তার মনের অবস্থা খুব খারাপ। মনে হচ্ছে এখনই সবকিছু ফাঁস করে দেই, এখনই পল্লবীর থেকে দূরে সরে আসুক প্রিয় মানুষটা। আর অনিমেষ তিথির নতুন সম্পর্ক গড়ে উঠুক। সবাই দেখুক নিজের মানুষকে আপন করতে একটা মেয়ে কত কিছুই না পারে। জগতের সব মানুষ ধিক্কার দিলেও তখন তাতে কিছু যাবে আসবে না। তার তো কেবল একটা মানুষই চাই। কিন্তু এসব অলীক কল্পনা মাঝেমধ্যে ফলে গেলেও এর আড়াল আবডালে যে আরও কোনো দুঃসহ কিংবা ভয়ানক পরিস্থিতিও আসতে পারে তা যেন তিথির মগজে আসতেই চাইছিল না।
একদিন জিনিয়াকে রাজি করিয়ে তিথি অনিমেষের বাসায় চলে গেল। অনিমেষ ছিল অফিসে। বাসায় পল্লবী একা। জিনিয়াকে দেখে পল্লবী এক চিলতে হাসি ফুটিয়ে বললো,
-এসো জিনিয়া আপু। তোমার সাথে এই সুন্দরী আপুটা কে?
– ও তিথি। অনিমেষ স্যারের কাছে পড়ত এক সময়।
– ওহ, তারপর বলো কী মনে করে? এতদিন পরে কোনো খোঁজ খবর না দিয়েই।
– না, তেমন কিছু না। তিথি খুব করে বলছিল তাই।
– নিশ্চয়ই স্যারকে দেখতে এসেছ! কিন্তু তোমার স্যার তো এখনো ফেরেনি। তিথির দিকে তাকিয়ে বললো পল্লবী।
– আপনার সাথে কিছু কথা বলতে চাচ্ছি। যদি সময় হয় আপনার…।
– হ্যাঁ, নিশ্চয়ই সময় হবে। বলো।
– কিন্তু এখানে বলা যাবে না। আমার সাথে আশপাশে কোথাও যেতে হবে।
– আজ?
– আজ না হলেও হবে। কাল যদি আপনি পারেন কালই।
– আচ্ছা, ঠিক আছে। কাল বিকেল পাঁচটায় আমরা তবে গ্রীন টাউনে যাব। সেখানে বসে গল্প করতে বেশ ভাল লাগবে আর তোমার কথাও শোনা যাবে।
পরদিন তিথি আর পল্লবী সেখানে গিয়ে নিরিবিলি একটা জায়গায় বসলো। আশপাশে অনেক মানুষ। বিশেষ করে প্রতিদিন বিকেলে মায়েরা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে আসে এখানে খেলাধুলা করতে। একটু দূরেই বাচ্চাগুলো খেলছে, খুব আনন্দ করছে বোঝাই যাচ্ছে দেখে। দূরে কিছু ছেলে ক্রিকেটও খেলছে। এতকিছুতে তিথীর বিশেষ মনোযোগ নেই।
পল্লবী বললো,- বলো তিথি। কী যেন বলতে চেয়েছিলে?
– আপনার স্বামী একজন রেপিস্ট।
– কী! পল্লবীর মাথা হঠাৎ ঝিমঝিম করতে লাগল। সাথে সাথে নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,
– তুমি কী বলছো তা কি ভেবে চিন্তে বলছো?
– হ্যাঁ, এবং শুনলে অবাক হবেন যে, আমিই ছিলাম সেই মেয়ে।পল্লবী আরও অবাক হয়ে তিথির দিকে তাকাল।
কিন্তু নির্বাক। ভাষাহীন চোখদুটো তাকিয়েই রইল অদ্ভূত বিস্ময় নিয়ে।
তিথি সব ঘটনা পটে পটে সাজিয়ে বললো পল্লবীকে। পল্লবীর কান ভার হয়ে উঠেছে। বিশ্বাস ব্যাতিরেকে অবিশ্বাসের কোনো বালাই রইল না।
পল্লবী বাসায় এসে মুখ ভার করে বসে রইল অনিমেষের অপেক্ষায়। অনিমেষ ফিরে অন্যান্য দিনের ন্যায় আজ পল্লবীর উৎসাহটা না দেখতে পেয়ে বুঝতে পারল কিছু একটা নিশ্চয়ই হয়েছে।অনেকক্ষণ চেষ্টার পরে পল্লবী ঘটনা খুলে বললো এবং সত্যতা জানতে চাইল। অনিমেষ নির্লিপ্ত হয়ে কিছুক্ষণ বসে থেকে বললো, তুমি যা শুনেছ তা সত্যি, পল্লবী। এরপরে ক্রমান্বয়েই স্বপ্নের মতো তিলে তিলে গড়ে ওঠা সংসারটা ম্লান হয়ে যাচ্ছিল দিনকে দিন। তারা বিষিয়ে উঠছিল যেন একে অপরের জীবনে জড়িয়ে থেকে। পল্লবী কিছুতেই বুঝতে চাইছিল না অনিমেষকে। অনিমেষও পেছনের গল্পটা থেকে কিছুতেই পল্লবীকে ফিরাতে পারছিল না।একসময় কাগজের মুক্তিকে একমাত্র পথ হিসেবে বেছে নিতে চায় পল্লবী। অনিমেষ এত দ্রুতই এমনটা আশা করেনি। সে মনে করেছিল পল্লবীকে তার বর্তমান শুদ্ধ স্বরূপ দেখাতে সক্ষম হবে। পল্লবী অনিমেষকে বুঝতে পারবে, ক্ষমা করবে তাকে। তারপর আবার সেই প্রথম দিকের সম্পর্কের শুদ্ধতায় ফিরে আসবে দুজন। কিন্তু তা আর হলো কই!
এদিকে পল্লবীর সাথে ছাড়াছাড়ির ব্যাপারটাও দেশবাসীর কাছে ছড়িয়ে গেল। অনিমেষ গান দিয়ে রাতারাতি পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিল এই ক’দিনে। তাই তার স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের বিচ্ছেদের খবর যেমন ছড়িয়ে পড়লো, তেমনি কেন এই সম্পর্কের ইতি টানা হয়েছে তার কারণও পল্লবী মিডিয়ার কাছে বলতে দ্বিধা করল না। অনিমেষ সেই ঘটনার পর কোথায় যেন হারিয়ে গেল। কেউ তার কোনো খোঁজ পেল না।
এদিকে তিথি নিজেকে ক্ষমা করতেও পারছে না। সারাক্ষণ ভেতরটায় কী একটা অপরাধবোধ যেন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাকে। অনিমেষকে পেল না শেষমেশ। কিন্তু ফলাফল এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ রইল না। এই যে একটা পবিত্র সম্পর্ক নষ্ট হল। দুটি হৃদয় আজ ঊষর মরুভূমির মতো হয়ে গেল নিমিষেই। দুটি প্রাণের সম্পর্কে টানাপড়েন চলতে চলতে শেষমুহুর্তে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে রইল শুধু সম্পর্কের দাগটা।পল্লবীর নিকট থেকে চেয়ে নেওয়া সেই একটা বিকেল আজ দুটো জীবনকে বিবর্ণ করে দিল। সেই একটা বিকেলের অপব্যবহারই আজ এই দুর্গতি এনে দিল। যার পেছনে মগজের বাজে ব্যবহার ছিল তিথির। এখন সে সারাক্ষণ শুধু ভাবে, কী করলো সে এটা!
সেই ঘটনার পর প্রায় আঠারো মাসের মতো কেটে যায়। এরপর একদিন হঠাৎ তিথির সাথে দেখা হয়ে গেল অনিমেষের। অনিমেষ শুধু জিজ্ঞেস করেছিল “আমি কি বেশি অন্যায় করেছিলাম? সম্মতি চেয়েছিলাম মাত্র। তুমি সাঁয় দাওনি বলে আমি তো আর জোর করিনি। বরং তারপর থেকে আর কখনো এমন কুরুচিপূর্ণ চিন্তা মাথায়ও আনিনি। অথচ তুমি এর প্রতিশোধ এমন করে নিতে পারলে তিথি?”তিথি কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিল না।
তবুও প্রাণপণ চেষ্টায় শুধু বলল,
– দেখুন, আমি এতটা চাইনি। বিশ্বাস করুন, এমনটা হবে তা আমি ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করিনি। আমি শুধু পল্লবী আর আপনার মাঝে তৃতীয় কেউ হয়ে থাকবো এটা মেনে নিতে পারছিলাম না। তাই, পল্লবীকে আপনার জীবন থেকে কৌশলে সরিয়ে আপনাকে নিজের করে পেতে চেয়েছিলাম।অনিমেষ কিছু না বলে হাঁটতে লাগলো। পেছনে তাকাবার যেন কোনো ইচ্ছেই নেই। তিথি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে প্রিয় মানুষটার চলে যাওয়া দেখছে। এরপর কখনো বিয়ের পিরিতে বসেনি সে। বাবা-মা অনেক চেষ্টা করেও পারেনি। সে শপথ করেছে জীবন এভাবেই কেটে যাক, তাই ঢের ভাল। একজনের সংসার ভেঙে, সংসার করার আনন্দ কেমন তা চেখে দেখার শখ জাগেনি তার।সেদিনের পর তিথি আর কখনো অনিমেষের কোনো খোঁজ পায়নি। অনেক খুঁজেছে একবার ক্ষমা চাইবে বলে। কিন্তু বেচারার আর কোন হদিশ মেলেনি।
আসলে প্রতিটা সম্পর্কের মাঝেই এমন তৃতীয় ব্যক্তি থাকে। যাদের মধ্যে কেউ কেউ নীরবে নিভৃতে থেকে গোপনে ভালোবাসে আর কেউ কেউ আবার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় সবকিছু হারিয়ে নিঃসঙ্গ থাকে আজীবন।
লেখক: শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
বেলাল❣️
কবি❣️
ভালোবাসা❣️
শুভ কামনা আপনার জন্য খুব ভালো লাগলো পড়ে , সুন্দর করে গুছিয়ে লেখাটা আমাদের মাঝে তোলে ধরার জন্য 😍