মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।। গল্প।। প্রায়শ্চিত্ত

1

আর্টওয়ার্ক: নগরবাসী বর্মন


ধূসর বর্ণের পাজারো জিএলএক্স জিপটা বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। কালো কোট টাইয়ের সাথে সাদা শার্ট, চোখে কালো সানগ্লাস, চুলে দামি জেলের আভাস বয়ে বেড়াচ্ছে, হাতে ফাস্টট্রেকের রিস্টওয়াচ, ল্যানকমপারফিউমের সুগন্ধটা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বাড়িটায়। আমান সাহেব তড়িঘড়ি করে গাড়িতে উঠলেন। লালদিঘীর মাঠে আজ বিশাল মাদক বিরোধী সমাবেশ। মাবাচা (মাদকমুক্ত বাংলাদেশ চাই) এর প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুবাধে আজকের সমাবেশের প্রধান অতিথি আমান সাহেব। বিকেল তিনটায় সমাবেশস্থলে পৌঁছালেন। সবার সাথে কুশল বিনিময়ের কিছুক্ষণ পরেই বক্তব্য দেওয়ার পালা। যথারীতি আলোচনা শেষ। শেষ করেই আমান সাহেব স্টেজের পেছনে চলে গেলেন। ভাব ভঙ্গিমায় বিশেষ প্রয়োজনের ছাপ। এমন অদ্ভুত আচরণে লোকেের মুখে নানা প্রশ্ন, মুখ চাওয়াচাওয়ি, নানান কথা। এতবড় একজন মানুষ, মাদক বিরোধী সমাবেশের প্রধান অতিথি স্টেজের পিছনে গিয়ে কি করছেন? সিগারেট খাচ্ছেন? এর চেয়ে ভয়ানক আর কি হতে পারে! ছি! ছি! এসব করার  কি কোন মানে হয়! সমাবেশ শেষ।


পনেরো কি ষোলো দিন পর আবার সমাবেশ। এবারেরটা প্যারেড ময়দানে। আমান সাহেব যথারীতি প্রস্তুতি নিয়ে বের হলেন সেই একই বেশভূষায়। আমান সাহেবের চালচলন, কথাবার্তা, কাজকর্ম সব দৃষ্টিকাড়া,প্রশংসনীয় কিন্তু সারাক্ষণ কালো চশমা পরে থাকাটা অনেকের কাছে দৃষ্টিকটু। তাই প্রকাশ্যে একটা কথা ভেসে বেড়ায় ;’আমান সাহেব লোকটা অহংকারী।’ অবশ্য এতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত তিনি করেন বলে মনে হয় না। আজকে মুছা চোখে চোখে রেখেছে আমান সাহেবকে। মুছা দৈনিক বাংলা পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদক। পত্রিকার সম্পাদক আমান সাহেবের উপর একটা স্পেশাল রিপোর্ট তৈরির দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন আজ। গত সমাবেশে স্টেজের
পেছনে চলে যাওয়া, ধুমপানের সন্দেহ সব হোমওয়ার্ক করা আছে মুছার। এখন অধির আগ্রহে বসে অপেক্ষা করছে কখন আমান সাহেব বক্তব্য শেষ করে স্টেজের পেছনে যাবেন, ধুমপান করবেন আর মুছা সেই এক্সক্লুসিভ
ছবি তুলে রগরগে শিরোনামে রিপোর্ট করে সম্পাদকের নিকট অর্পণ করবে।বক্তব্য শেষ করে আমান সাহেব বরাবরের মত স্টেজের পেছনে। মুছাও ভিড় ঠেলে এগিয়ে গেল। মুছা গিয়ে দেখল আমান সাহেব কালো চশমাটা রুমাল দিয়ে মুছে আবার পরে নিচ্ছেন। মুছার মন খারাপ হয়ে গেল। ইস! একটুর জন্য মিস করে ফেললাম। একটু আগে এলেই হাতে নাতে ধরতে পারতাম। শালা খুব শেয়ানা লোক! নিশ্চিত দুইটান দিয়ে কোনভাবে জ্বালা মিটিয়েছে। মুছা অনুসন্ধানী দৃষ্টিতে আশেপাশে ধোঁয়া ওঠা সিগারেটের উচ্ছিষ্টাংশ খুঁজছিল। হঠাৎ আমান সাহেবের সাথে চোখাচোখি। পরিচয় দিয়ে কুশল বিনিময় করে চলে আসে মুছা।গোপনে আমান সাহেবের বাংলোয় যায়। ষাটোর্ধ কেয়ারটেকার কাশেম চাচার সাথে ভালো ভাব জমালেন।বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ শুরু করলেন। মুছা বারবার জানতে চায় আমান সাহেব ধুমপায়ী কিনা। উত্তরে না ছাড়া হ্যাঁ আসে না। মুছাও নাছোড়বান্দা। সে প্রমাণ করেই ছাড়বে। সম্পাদকও বিভিন্ন রকম খোঁচা কিস্তি দিতে লাগলেন। মুছার গায়ে লাগে।


বছর শেষ। সারা দুনিয়া ৩১শে ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করবে । আমান সাহেব ঠিক করলেন, এবার চট্টগ্রামে না করে সমাবেশটা কক্সবাজারে করবে। দেশের সবচেয়ে ঝমকালোভাবে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন হয় কক্সবাজারে। উন্মুক্ত কনসার্ট, নামিদামি সব শিল্পীরা আসেন, প্রচুর লোক সমাগম হয়। এটাই সচেতনতা বৃদ্ধির সুবর্ণ সুযোগ। যেই বলা সেই কাজ। সব আয়োজন শেষ। লাবণী পয়েন্টের ঠিক কাছাকাছি ট্যুরিস্ট পুলিশের অনুমতিক্রমে স্টেজ করা হল। মুছাও গিয়ে হাজির। সারাদিন বিভিন্ন ইভেন্ট শেষে বিকেলে বক্তব্যের পালা। মুছার ঈগলদৃষ্টি লক্ষ করছে  আমান সাহেবকে। বক্তব্য শেষে নিয়মমাফিক স্টেজের পিছনে আমান সাহেব। মুছা কিভাবে যাবে, কি করবে আগে থেকেই ঠিকঠাক। দেরি না করে সেও সাথে সাথে হাজির। মুছা গিয়ে থতমত খেয়ে গেল। পুরোপুরি হতভম্ব! সে যা আশা করছিল তার ছিটেফোঁটাও নেই। আমান সাহেবের একহাতে কালো চশমাটা আর অন্য হাতে প্যান্টের পকেটে কি জানি খুঁজে যাচ্ছে। মুছা কাছে গেল। চোখে জল দেখে বুঝার বাকি রইল না রুমাল খুঁজছে। টিস্যু এগিয়ে দিল। দুটি বিস্ফোরিত দৃষ্টি তার দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে। মুছাও অপলক। মুছা ওই চোখগুলোতে কিছু একটা খোঁজার চেষ্টা করল। একদিকে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল নোনা জলরাশি আর অন্যদিকে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে বেয়ে আসা ঝর্ণার মত দুটি গভীর চোখ। একদিকে লাল হয়ে যাওয়া সূর্যের অস্ত যাওয়ার প্রতীক্ষা আর অন্যদিকে কোটরের গভীরে অস্ত গিয়েও পুলক ছড়ানোর করুণ আকুতি নিয়ে বেঁচে থাকা দুটি লাল টকটকে চোখ। মুছা এই দুই ফ্যাক্টরের মধ্যে মিল খুঁজে যায়।কিন্তু পায় না।সিসমোগ্রাফ দিয়ে ভুমিকম্প মাপা যায়, ফ্যাদোমিটার দিয়ে মাপা হয় সমুদ্রের গভীরতা, বায়ুর আর্দ্রতা মাপা হয় হাইগ্রোমিটার দিয়ে আর সূর্যের কৌণিক দূরত্ব মাপা যায় সেক্সট্যান্ট দিয়ে কিন্তু মনের যে গভীরতা, হৃদয়ের যে কম্পন, চোখ থেকে চোখের যে দূরত্ব, চোখের জলের যে আর্দ্রতা তা কি মাপার কোন যন্ত্র আছে? উত্তর খোঁজে মুছা।রাতেই সবাই চট্টগ্রাম চলে এসেছে। মুছা তার সম্পাদককে জানিয়ে দিল এই রিপোর্ট করা তার পক্ষে সম্ভব না।কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু মুছা আমান সাহেবের পিছু ছাড়ল না। এখন ধুমপান নয় বরং কান্নার কারণ জানতে চায় সে। ৩রা জানুয়ারি, বিকেল চারটা তিরিশ মিনিট।


কেয়ারটেকার কাশেমের মাধ্যমে কোনভাবে আমান সাহেবের সাথে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে খুলশি ২নং রোডের বাংলোয় এসে হাজির হল মুছা। আমান সাহেব দেখে বলে উঠলেন – ও তুমি? কাশেম চাচা আমাকে তুমি আসবে তা একবারও বলল না তো? কাশেম চাচা হয়ত জানেন না যে আপনি আমাকে চেনেন। তাই হয়ত বলেন নি, মুছার উত্তর। কথার একপর্যায়ে আমান সাহেবের ফোন আসে। ফোন টেবিলে থাকাতে মুছার দেখতে অসুবিধে হয়নি কে ফোন করেছে। তারপরও সৌজন্যতাবশত আমান সাহেব বললেন- দুঃখিত। বাবা ফোন করেছেন। জাস্ট টু মিনিট। এই বলে কথা বলতে চলে গেলেন একপাশে। সেদিন নানা কথাবার্তা বললেন, খোশগল্প করলেন। মুছা চলে আসল। মুছার কৌতুহলের ডানায় আরো একটি পালক যোগ হল। আমান সাহেবের এত বড় বাংলো অথচ মা,বাবা, ভাই, বোন কেউ থাকেনা কেন? আচ্ছা তাদের কথা বাদ দিলাম। তাহলে বৌ, বাচ্চা? নানা প্রশ্ন ঘুরতে লাগল মুছার মনে।


কয়েকদিন পর কাশেম চাচাকে ফোন দেয় মুছা। সে আমান সাহেবের সাথে আরো একবার দেখা করতে চায়।প্রতিউত্তরে যা বললেন তাতে আকাশ থেকে পড়ল। তার মনে হচ্ছে ভূমিকম্প হচ্ছে। আশেপাশের সবকিছু ঘুরে ঘুরে দূরে সরে যাচ্ছে। মুছা সোজা আমান সাহেবের বাসার দিকে রওনা দিলেন।


আজ ১৫ই জানুয়ারি। সেকান্দার সাহেবের ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী। সেকান্দার সাহেব সম্পর্কে আমান সাহবের বাবা। মুছার হিসেব মিলে না। সে নিজ চোখে দেখেছে গত দিন দশেক আগেও যে লোকটার সাথে আমান সাহেবকে কথা বলতে দেখেছেন তার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী হয় কিভাবে? মাথা চুলকায় মুছা। ধাঁধাঁয় পড়ে যায়। বিশাল ব্যর্থ ডিটেকটিভ মনে হচ্ছে নিজেকে। সে আমান সাহেবের গল্প জানতে চায়। অনেক কষ্টে মুছা কাশেম চাচার সাহায্যে এক ভদ্রলোকের সন্ধান পেলেন। সেলিম চাচা। ফটিকছড়ি থাকেন। মুছা ঠিকানা নিয়ে ছুটে গেলেন তার কাছে।অজানা এক কৌতুহল টানছে মুছাকে। সেলিম চাচার সাথে দেখা করলেন। কিন্তু তিনি মুখ খুলতে নারাজ। মুছা বিস্তারিত খুলে বলার পর গোপন রাখার শর্তে রাজি হলেন।


সন্ধ্যা ছয়টা। সেলিম চাচা মুছাকে নিয়ে যায় এক পুরনো বাড়িতে। বাড়ির দরজায় একটি কাগজে সাঁটানো জীবনানন্দের দুটি লাইন-

“জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের পার-

তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার আমার!”


লতাপাতা ঝোপঝাড়ে ভরপুর চারপাশ। কেউ থাকে বলে মনে হয় না। ভিতরে নিয়ে গেল মুছাকে। সমস্ত বাড়ি ভর্তি নানা রঙের কাগজ ঝুলানো, দেয়ালে শাটানো অসংখ্য রঙ বেরঙের পোস্টার। তাতে  ছোট বড় অক্ষরে অসংখ্য লেখা। সেলিম চাচা বলা শুরু করলেন-


১৯৯৬ সালের কথা। আমান তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। তারা দুই বোন এক ভাই। আমান সবার বড়।তাকে নিয়ে সেকান্দারের স্বপ্নের অন্ত ছিলনা। কিন্তু তাদের আর্থিক অবস্থা ছিল নাজুক। কোন রকমে চলত। আশায় ছিল কখন আমান সংসারের হাল ধরবে। আমান অনেক মেধাবী। ফলাফলও ভালো করছিল। কিন্তু কিভাবে জানি সে সিগারেট থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে মদ, গাজা, আফিম, হিরোইন এসব ছাইপাঁশ গিলতে শুরু করল। বোঝার কোন উপায় ছিল না কারো। এক গরমের ছুটিতে আমান বাড়িতে আসল। লম্বা ছুটি। বাবার কাজে সাহায্য করতে সবটা ছুটি বাড়িতে কাটানোর সিদ্ধান্ত হল। আমানের অনেক পীড়াপীড়ি ছিল কিন্তু বাবার সাথে পেরে উঠছিল না।তাই বাধ্য হয়ে রয়ে গেল। সব ঠিকমত যাচ্ছিল। একদিন সেকান্দার লক্ষ করল আমান রাতে কোথায় যেন যাচ্ছে। ভাবল, হয়ত কোন বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা দিতে যাচ্ছে। এই কান্ড নিয়মিত দেখে তার জানার আগ্রহ সৃষ্টি হল। তার ছেলেটার যদি আবার কিছু হয়ে যায়! একরাতে আমানের পেছন পেছন বের হল সেকান্দার । চারিদিকে অন্ধকার, ঝিঝি ছাড়া কেউ নেই কোথাও। আমান হঠাৎ সোজা রাস্তা ছেড়ে বস্তির গলি দিয়ে হাটা আরম্ভ করল।


ঘটনাস্থলে গিয়ে যা দেখল তা আর সইতে পারল না সেকান্দার। স্ট্রোক করে এগারো দিন হাসপাতালে ছিল। কারো সাথে কোন কথা বলতে পারে নি। শুধু চোখগুলো বড় বড় করে তাকিয়ে থাকত। আমান হাসপাতালে গেল।
বাবার পাশে বসল। বাবা তার বেডের পাশে কি জানি ইঙ্গিত করল। ছোট্ট একটা কাগজের টুকরো। তাতে লেখা প্রিয় আমান,


আমি ধনী নই। আমার অঢেল সম্পত্তি নেই বাবা। আমার মান, মর্যাদা, ইজ্জত বলতে সব তোরাই। গরিবের দুনিয়াতে বেঁচে থাকার অবলম্বন হচ্ছে তার ইজ্জত। সেই অবলম্বনটুকু যখন চোখের সামনে বানের জলে ভেসে যায়
তখন সে বুঝতে পারে মানুষ কতটা নিঃস্ব, অসহায় আর সম্বলহীন। আশা বলতে আর কিছু থাকে না। আশাহীন মানুষ কি বেঁচে থাকতে পারে বাপ?ওই নেশাগ্রস্ত চোখে তোর মায়ের চোখে তাকাইস না। আমার আত্মা শান্তি পাবে না।
-তোর ভাগ্যাহত পিতা


সেকান্দার মারা যাওয়ার কিছুদিন পর আমানের মাও মারা গেল। দুই বোনের বিয়ে দিল আমান। বিভিন্ন জায়গায় মিছিল সমাবেশ করে বেড়ায়। এখন আমার নাম্বারটা বাবা নামে সেভ করা তার ফোনে। কল দিলেই বলে বাবা আমি আর জীবনেও এসব খাব না। প্লিজ বাবা আমাকে ক্ষমা কর। আমাকে ক্ষমা কর। বাবা আমি প্রতিটা সমাবেশে এখন বলি আমার বাবার স্বপ্ন ধুমপানমুক্ত সমাজ। বলার পর খুব কান্না পায় বাবা। চোখে জলও আসে। কিন্তু সেই জল কাউকে দেখাতে পারিনা।তারপর ধুম করে ফোন কেটে দেয়। মুছা হতভম্ব!  কি বলবে, কি করবে বুঝতে পারে না। এই মুহূর্তে তার আকাশ দেখতে  ইচ্ছা হচ্ছে খুব। যখন কোথাও কোন উত্তর থাকে না তখন আকাশ নাকি অনেক উত্তর দিয়ে দেয়। উপরে তাকায়। এতপরিমাণ প্লেকার্ড ঝুলানো, আকাশ তো দূরের কথা ঘরের সিলিংও দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎ বড় বড় লেখাওয়ালা একটা কাগজে চোখ গেল তার। তাতে লেখা- ধুমপান করলে স্ট্রোক হয়।


মুছা সব কাগজ চেক করে। সমস্ত কাগজে সেই একটা লাইনই লেখা। মুছা নিঃশ্বাস ছাড়ে ধোঁয়া ছাড়ার ভঙ্গিতে।
এখানে ধুসর কোন ধোঁয়া নেই, আছে কেবল বিষাক্ত আফসোস আর অন্তহীন দীর্ঘশ্বাস। 


  
লেখক: শিক্ষক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় 

১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম দিন