ছবি: শেখ সুজন আলী বসন্ত আসুক তাদের জীবনে― যাদের সর্বস্ব ভাসিয়ে নিয়েছে মহাকালের কালস্রোত। বসন্তের নতুন কুঁড়ি ফুটুক, সাজুক আপন মহিমায় ঘন সবুজে― যেথা লুপ্ত হয়েছিল অগ্নিগর্ভে; ভরে উঠেছিল রাশি রাশি ছাইয়ে। পলাশ-শিমুল-কৃষ্ণচূড়ার আগুন লাগুক তাদের মনে― যাদের মন শীতের রুক্ষতায় কঠোর কিংবা, গ্রীষ্মের দাবানলের লেলিহান শিখায় ভস্ম হয়েছে। আজও ট্রেনের বগিতে-বগিতে খুঁজে বেড়াচ্ছে তার প্রেয়সীকে। বসন্তের দখিনা হাওয়া রঙের দোলা দিক প্রাণে― উসকোখুসকো চুলে থাকা হৃদয়পোড়া বাউণ্ডুলে মানুষটার মনে। লাল-হলুদ গায়ে এবার ফিরুক ঘরে। বসন্ত আসুক ছলনায় আপোষ না করতে পেরে– যে অভ্যস্ত হয়েছে ট্রিগার চাপার কর্কশ ধ্বনিতে, তাদের জীবন ভরে উঠুক কোকিলের কুহুতানে। বেরঙিন জীবন রাঙিয়ে দিক তাদের সহসাই কেউ এসে। আসুক বসন্ত সেই সকল মানব-মানবীদেরও জীবনে― যাদের চোখ জোড়া একটি বসন্তের অপেক্ষায় অনাদিকাল থেকে আছে জেগে।
লেখক : শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।