প্রবন্ধ : আমাদের কবি আবুল হাসান : তৌফিক আহমেদ সজীব

0

অলংকরণঃ ফারিনা আহমেদ

অন্ধকার গলি ঘুপচির ভেতর খোপ খোপ ঘর, তীব্র অন্ধকারের সাথে প্রস্রাবের গন্ধ মিলেমিশে একাকার। সেখানে সস্তা মদের সাথে নারীর অঙ্গ মিশিয়ে ধ্যানে মগ্ন একজন। কাতর চোখে অভিজ্ঞতা নেয়ার চেষ্টা করছেন প্রতিমুহূর্ত। আপাত দৃষ্টিতে তাকে মনে হতে পারে কাচা মাংসের ব্যাপারী। কিছুক্ষণ পর আমরা জানব উনি কবি। শিল্পকলার জন্য যিনি সাধনা করে গেছেন প্রতিনিয়ত। অস্বীকার করেছেন দুই ঘর বারান্দাবিশিষ্ট সংসার স্বচ্ছল জীবন। প্রথাগত সমাজ, সংসার, রাজনীতি কে বৃদ্ধাঙগুলি দেখিয়ে নিজের ভেতর নিজে হয়ে উঠেছেন প্রকৃত কবি। তিনি আবুল হাসান। পঞ্চাশের দশকে বাংলা কবিতার যে ভিত রচিত হয় ষাটের দশকে গিয়ে তা পরিণতি লাভ করে কতিপয় কবির হাত ধরে। আবুল হাসান তাদের একজন। মাত্র ২৮ বছরের তার জীবন। অথচ কী তীব্র তার যাপন! 

তার জন্ম ভাঙনের সময় ১৯৪৭ সালে। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াসময়ে তিনি তার স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন বলে শোনা যায়, তার কবিতা চর্চা ঠিক কবে থেকে শুরু হয় তা জানা যায় না। তবে ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি আবির্ভাব হন বাংলা কবি সমাজে। সে দারুণ এক সময়, একদল তরুণ কবি হওয়ার আদর্শ বুকে ধারণ করে হাটছে নগরীর পথে। বদলেয়ার, র‍্যাঁবো কে নিয়ে আড্ডা জমাচ্ছে টঙে, শরীফ মিয়ার ক্যান্টিনে। উপমা, চিত্রকল্পের সাথে সাথে বাড়ছে সিগারেটের স্তূপ, প্রকাশনীগুলোতে কালির গন্ধ, চায়ের কাপে ম্রিয়মাণ ছাই, প্রুফ দেখায় অফিসপাড়া সরগরম। আবুল হাসান সেসময় বরিশাল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ঢাকায় ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। কোমল নরম তার চোখ। কণ্ঠ কলস থেকে পানি ঢালবার মত ভরাট অথচ কলকল, ভেতরে অশোধিত কবি মন। প্রথম প্রথম গল্প লিখতেন। কিন্তু যার ভেতরে কবি বসবাস করে, গল্প লিখে কি তিনি রাতে ঘুমোতে পারেন? আহত সিংহের মতো কবিতার ক্ষুধা নিয়ে তিনি ভিড়ে গেলেন নির্মলেন্দু গুণ, সাব্দার সিদ্দিকি, মোহাম্মাদ নুরুল হুদা প্রমুখ কবির সাথে। দাপিয়ে বেড়ালেন শহর, কবিতার প্রতিযোগিতায় ছাড়াতে চেষ্টা করলেন একে অপরকে। কবিতার জন্য হয়েছেন বোহেমিয়ান। কবিতার পেছনে ধাওয়া করতে করতে নিজেকে নিয়ে গেছেন অসামান্য উচ্চতায়। নিজের ভেতর করেছেন ভাঙনের পর ভাঙন। প্রথমে ভেঙেছেন নিজের নাম। আবুল হোসেন থেকে হয়ে গেছেন আবুল হাসান। ভাঙনের ফসল হিসেবে ফলিয়েছেন একের পর এক কবিতা। তেমন এক উদাহরণ নিজ অস্তিত্ব ভাঙনের কবিতা ‘আবুল হাসান’।   

সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে, উজ্জ্বলতা ধরে আর্দ্র, মায়াবী করুণ
এটা সেই পাথরের নাম নাকি? এটা তাই?
এটা কি পাথর নাকি কোনো নদী? উপগ্রহ? কোনো রাজা?
পৃথিবীর তিনভাগ জলের সমান কারো কান্নাভেজা চোখ?
মহাকাশে ছড়ানো ছয়টি তারা? তীব্র তীক্ষ্ণ তমোহর
কী অর্থ বহন করে এই সব মিলিত অক্ষর?
 
আমি বহুদিন একা একা প্রশ্ন করে দেখেছি নিজেকে,
যারা খুব হৃদয়ের কাছাকাছি থাকে, যারা এঘরে ওঘরে যায়
সময়ের সাহসী সন্তান যারা সভ্যতার সুন্দর প্রহরী
তারা কেউ কেউ বলেছে আমাকে—
এটা তোর জন্মদাতা জনকের জীবনের রুগ্ন রূপান্তর,
একটি নামের মধ্যে নিজেরি বিস্তার ধরে রাখা,
তুই যার অনিচ্ছুক দাস!
 
হয়তো যুদ্ধের নাম, জ্যোৎস্নায় দুরন্ত চাঁদে ছুঁয়ে যাওয়া,
নীল দীর্ঘশ্বাস কোনো মানুষের!
সত্যিই কি মানুষের?
 
তবে কি সে মানুষের সাথে সম্পর্কিত ছিল, কোনোদিন
ভালোবেসেছিল সেও যুবতীর বামহাতে পাঁচটি আঙুল?
ভালোবেসেছিল ফুল, মোমবাতি, শিরস্ত্রাণ, আলোর ইশকুল?

প্রথাগত কবিতার বাইরে গিয়ে ভিন্নমাত্রার বিষয়বস্তুর অদ্ভুত কবিতা লিখে বসলেন তিনি। যার বাঁকে বাঁকে প্রশ্ন, সংশয়। মনে হয় যেন একটা নদী বয়ে চলেছে বুকের ভেতর, সাবলীল। যার গন্তব্য সে জানেনা। জানার ব্যাকুল চেষ্টা বোঝা যায় চিন্তায়, অনুমানে। পড়বার সময় থেমে যেতে হয়না, কবিতার মেজাজে উত্থান পতন পাহাড়ের ঢাল থেকে পড়বার সময় যে শব্দ হয় তেমন, বাঁকে বাঁকে নদী মোড় নিলে পাড়ে লেগে যে তরঙ্গ ভঙ্গের শব্দ হয় তার মতো প্রাকৃতিক। অনেকে বলে থাকেন তার কবিতায় জীবনানন্দ দাশের প্রসন্ন প্রভাব প্রবল। সাহিত্য নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে কেউ প্রভাব মুক্ত নয়। কারো না কারো লেখনীর অনুপ্রেরণা তাড়িত করে ভেতরে। এটা ইতিবাচক ভাবে নিতে হবে। তবে প্রকৃত কবি সে, যে বলয়ের ভেতর থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র ধারা তৈরি করে। যে ধারা অন্য আরেকজনের ছায়া হয়ে যায়। মূল নদীর বলয় থেকে বের হয়ে শাখা নদী হয়ে যে সাগরে মেশা যায় আবুল হাসান তার জ্বলজ্বলে প্রমাণ। 

ঢাকাতে থাকাকালীন সময়ে কবি সংস্কৃতির একটা দর্শনের বীজ উপ্ত হয়েছিল তার মাঝে। তিনি  ফুলটাইম কবি হতে চাইতেন। শোয়া থেকে বসা, পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত কবি হতে চাইতেন। কবিতাই যেন আবুল হাসানকে পেয়ে বসেছিল। কবিতার জন্য স্বর্গ দেখতে হয় কবিতার জন্য নরক-ও দেখতে হয় এই বোধ নিয়ে তিনি সুন্দরের কাছাকাছি গিয়েছেন আবার অসুন্দরকেও পরম যত্নে আগলে নিয়েছেন। পরিবারের সাথে বিশেষ সম্পর্ক ছিল না। অর্থকষ্টে অথবা উদাসীনতায় অথবা কবি হতে গেলে ড্রপ আউট হতে হয় এই বোধ নিয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে ১৯৬৭ সালে যোগ দেন সাংবাদিকতায়, দৈনিক ইত্তেফাকে। পুরোদমে কবিতা লেখা ও প্রকাশ শুরু করেন। তার সেসময়ের অবস্থা ফুটে উঠেছে ‘আমার হবেনা আমি বুঝে গেছি’ কবিতায় দারুণভাবে;

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ!
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
ক্ষমা করবেন বৃক্ষ, আপনার শাখায় আমি সত্য পাখি বসাতে পারবো না !
বানান ভীষণ ভুল হবে আর প্রুফ সংশোধন করা যেহেতু শিখিনি
ভাষায় গলদঃ আমি কি সাহসে লিখবো তবে সত্য পাখি, সচ্চরিত্র ফুল ?
 
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
সচ্চরিত্র ফুল আমি যত বাগানের মোড়ে লিখতে যাই, দেখি
আমার কলম খুলে পড়ে যায় বিষ পিঁপড়ে, বিষের পুতুল!
 

অদ্ভুত উপস্থাপনে নিজস্ব ধারায় চলতে থাকে তার কবিতা, পরিচিত হতে থাকেন অসংখ্য মানুষের সাথে, মানুষকে আপন করে নেয়ার গুরুত্বপূর্ণ গুণটি তার মাঝে ছিল সহজাত। মানুষকে দূরে ঠেলে দিতেও পারতেন অনায়াসে। তাকে সংজ্ঞায় ফেলা যায় না কোনভাবে, কবিদের হয়তো সংজ্ঞায় ফেলা যায় না। এই হয়তো বিনয়ে বিগলিত হয়ে পড়ছেন, এই হয়তো নিষ্ঠুর আচরণ করছেন। অভাব, অনিশ্চয়তা, নিঃসঙ্গতা নানা দহনের মাঝ দিয়ে চলছিল তার জীবন। কবিতার জন্যই যেন উৎসর্গ তার সকল জ্বালা, সকল ভালোলাগা। এর মাঝে পেয়ে যান ‘শিকারী লোকটা’ কবিতার জন্য ১৯৭০ সালে দক্ষিণ এশিয়া সাহিত্য পুরস্কার। তার কর্মের প্রত্যাশিত সামান্য মূল্যায়ন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তার কবিতাগুলো পরিণত হতে শুরু করে আরও। কবিতায় গভীর ভাব, সূক্ষ্ণ দৃষ্টিভঙ্গির দেখা মেলে। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাজা যায় রাজা আসে’। যা তার প্রথম জীবনের কবিতাগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করে। এ বইয়ের কবিতাগুলো জানান দেয় একজন কবি বিপুল বিক্রমে আসতে যাচ্ছেন বাংলা সাহিত্য। তবে কাব্যগ্রন্থটি পুরোপুরি আবুল হাসানকে মেলে ধরেনা। তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থের (যে তুমি হরণ করো) সকল কবিতা তার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনা। তবে কিছু কিছু কবিতা দেখে পড়বার পর মনে হয় এই একটি কবিতাই যথেষ্ট তাকে মহাকালে জায়গা করে দিতে। তার আর না লিখলেও চলত। এমন একটি কবিতা ‘তোমার চিবুক ছোব কালিমা ছোবনা’

এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
তোমার ওখানে যাবো, তোমার ভিতরে এক অসম্পূর্ণ যাতনা আছেন,
তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই শুদ্ধ হ’ শুদ্ধ হবো
কালিমা রাখবো না!
 
এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
তোমার ওখানে যাবো; তোমার পায়ের নীচে পাহাড় আছেন
তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই স্নান কর
পাথর সরিয়ে আমি ঝর্ণার প্রথম জলে স্নান করবো
কালিমা রাখবো না!
 
এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
এখন তোমার কাছে যাবো
তোমার ভিতরে এক সাবলীল শুশ্রূষা আছেন
তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই ক্ষত মোছ আকাশে তাকা–
আমি ক্ষত মুছে ফেলবো আকাশে তাকাবো
আমি আঁধার রাখবো না!
 
এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
যে সকল মৌমাছি, নেবুফুল গাভীর দুধের সাদা
হেলেঞ্চা শাকের ক্ষেত
যে রাখাল আমি আজ কোথাও দেখি না– তোমার চিবুকে
তারা নিশ্চয়ই আছেন!
 
তোমার চিবুকে সেই গাভীর দুধের শাদা, সুবর্ণ রাখাল
তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই কাছে আয় তৃণভূমি
কাছে আয় পুরনো রাখাল!
আমি কাছে যাবো আমি তোমার চিবুক ছোঁবো, কালিমা ছোঁবো না!

এছাড়াও গোলাপের নিচে নিহত হে কবি কিশোর, কবির ভাসমান মৃতদেহ, কালো কৃষকের গান কবিতাগুলো কালের অক্ষর।

আমি জানি আমি একটি মানুষ
আর পৃথিবীতে এখনও আমার মাতৃভাষা ক্ষুধা।
 
অবশেষে জেনেছি মানুষ একা
জেনেছি মানুষ তার চিবুকের কাছেও ভীষণ অচেনা ও একা।
 
যত দূরে যাই ফের দেখা হবে,কেননা মানুষ
মূলতঃ বিরহকামী কিন্তু তার মিলনই মৌলিক
 
এর মত লাইনগুলো অস্ফুট মুগ্ধতায় বলতে বাধ্য করে আহ!কবি।সুন্দর।।

নানা অনিয়ম, সস্তা সিগারেট এবং মদ্যপান, দীর্ঘদিন পতিতাদের সান্নিধ্য অথবা এর কিছু নয় শুধুই স্রষ্টার ইচ্ছায় আবুল হাসান আক্রান্ত হোন প্লুরিসি রোগে। এই রোগে নাকি হৃদয়ের সম্প্রাসারণ ঘটে। নির্মলেন্দু গুণকে তিনি মজা করে বলতেন আমার হৃদয় তোমাদের থেকে বড় হয়ে গেছে গুণদা। রোগের এক পর্যায়ে তিনি পরিচিত হোন সুরাইয়া খানম নামে অপূর্ব সুন্দরী এক নারীর সাথে, পরস্পর ঘনিষ্ঠতায় সুন্দরের কাছে এসে কবি মেলে দেন হৃদয়ের যাবতীয় সুষমা। এসময় লেখেন তার জীবনের শ্রেষ্ঠ কবিতা মালা। সুরাইয়া খানমকে উৎসর্গ করেন তার কাব্যগ্রন্থ ‘পৃথক পালংক’। এ বই কবির বোধের দলিল। শামসুর রহমানের মতে এ বই-ই আবুল হাসানকে প্রকৃত কবি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। সর্বগ্রাসী মৃত্যুর করতলে থেকে কী প্রখরতার সাথে সৌন্দযের বেদীতে নির্বাণ ঢেলে গেছেন, এই কাব্যগ্রন্থটি তার লিখিত রূপ। আহমদ ছফার ভাষায় সময়ের বিষ ও অমৃত দুই-ই থাকে। বিষ ও অমৃত দুটোই শুষে নিয়েছিল হাসান। অমৃত পরিস্ফুটিত হয়েছে তার কবিতায়।

ঝিনুক নীরবে সহো
ঝিনুক নীরবে সহো, ঝিনুক নীরবে সহে যাও
ভেতরে বিষের বালি, মুখ বুজে মুক্ত ফলাও।

তার কবিতার মতোই যেন তার জীবন। কাব্যজীবনের শুরুতে ভেতরে দহন আর শেষের দিকে মৃত্যুকে শিয়রে নিয়ে লিখে গেছেন কবিতা। ফলিয়েছেন মুক্তা। বনের অসংখ্য বৃক্ষের মাঝে তিনি অদ্ভুত একাকি বাকল বৃক্ষ। তাকে বলা হয় নিঃসঙ্গতম কবি। কারণ শূন্যতা, নিঃসঙ্গতা ছাড়া তার মতো করে কবিতা লেখা যায়না হয়তো। কবিতা লিখতে গেলে সব ছেড়ে একা হতে হয়, নির্মোহ হতে হয়, নিজের মুখোমুখি নিজেকে দাঁড় করিয়ে স্বগোক্তির মতো করে বলতে হয়। আহ! আমি কবি। সমাজ, সংসার, রাজনীতি পালিত দুষ্ট কোন দোপেয়ে মানুষ নই।।

আবুল হাসানকে নিয়ে চিন্তাগুলো থোকা থোকা বেলীফুলের মতো। তার এত কলি যে একটি মালায় গাঁথা তাকে সম্ভব নয়। আমরা কেবল তার ঘ্রাণটা বুঝতে পারি। শুধু গহনে একান্ত ইচ্ছা, পাঠক আবুল হাসানকে জানুক। নিঃসঙ্গতা, বিচ্ছিন্নতা বোধ, নিরন্তর আলোড়ন থেকে তাদের মাথার ভেতর একটি পঙ্‌ক্তি ঘুরতে থাকুক; 

করতলে কুয়াশা লাগিয়ে কোন কিশোরী কেঁদে উঠুক রাত্রি বেলা, আমার কী?

লেখক:শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম দিন