ছবি: শেখ সুজন আলী
প্রত্যক বিকেল আঁছড়ে পড়ে গোধূলির বুকে
আমি চাচাদের নিয়ে বেড়াই, গান গাই-
তোমার দিকে আঁকি নিক্ষেপ করার সময় না পাই।
তাদের দ্বীপের বহুদিনের জমানো কীর্তি শুনি
প্রতিদিন শুনি প্রিয় সংগীতের মতো শুনি। হাতে কাজ নাই-
বাঁশের মাথায় বসি আগুন চিবাই মনে মনে
চাচাদের ভীষণ মহৎ কার্য ভাবি। দেখি,
তাদের কাজ খোলা রাস্তায় কুকুর-কুকরী
করে বেড়ায়। তফাত না পাই…
বিকেল হলেই চাচার বউয়ের বান্ধবীর সাথে-
ছাঁদে বেড়াই। চাচার কথা মিলাই আড় আঁখিতে তাকাই-
রাত্রি হলে কেমন করে ননীর দেহ থেকে আগুন বের হয়-
ভাবি। ভেবে কূল না পাই…
চাচার বউয়ের বোনের বাসনাবন্ধ পেলব-অধরে
দেখি কুৎসিত এক কামনা খেলা করে।
বিবশ রাতের অন্ধকারে আদিম খেলায় মাতে।
এমন মহৎ কাজ হাওর দ্বীপের এত আয়োজন–
মায়ের গর্ভে ঘুমিয়ে থাকা আগামীর শিশু
এমন করেই হাটবে কি এক অনিবার্য সিড়ি বেয়ে? হয়তো…
নগর-নগরী হারিয়ে যায় মহাকালের খরস্রোতে
কিন্তু এই বিশাল সভ্যতা, কবে মুক্তি পাবে!
সভ্য মানুষেরা নিজেদের সভ্যতার চাঁদরে
ঢেকে আর ও যেন অসভ্যতায় মিত্রতা করছে।
এই শ্রেষ্ঠজীব মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব মনুষ্যত্ব?