কবিতা: শরণার্থীর চিঠি: হাসানুজ্জামিল মেহেদী

0

 ছবি: শেখ সুজন আলী

ঝলসানো পৃথিবীর মুখ,

অন্ধকার শহরে জ্বলে উঠে অসংখ্য বারুদ।

প্রেসিডেন্ট, আমি শরণার্থী। আমার কান্না শোন,

অসংখ্য দুপুরে আমি ভাসমান মানুষ,

তোমাদের শহরে বেঁচে থাকি খেয়ে

বিভৎস রোদ।

বৈরুত- বেথেলহাম, কাবুল- দামেস্ক, সমুদ্র- মরুভূমি,

সোনালী প্যাগোডার দেশে মৃত্যু উপত্যাকা আরাকান,

বুলেটবিদ্ধ মানবতা, অভুক্ত কুকুরের মতো বেঁচে থাকি।

জ্বলে গেছে শহর, দালান।

কাঁটাতার পেরিয়ে চলছি,

বাচ্চারা বড় হচ্ছে, এখন তারা মানুষ কিংবা শরণার্থী।

আমরা আবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বো,

‘নতুন শিবির আর কত দূর?

বাচ্চারা জানেনা তার বাবার ছিলো গ্রাম জোড়া শস্যের ক্ষেত,

দক্ষিণ হাওয়ার বাগান বাড়ি।

সে জানে পৃথিবী মানেই শরণার্থী শিবির,

যুদ্ধ, রক্ত, মৃত্যু, লাশের সারি।

একবিংশ শতাব্দীতে বেওয়ারিশ বাঁচতে খুব লজ্জা হয়।

এ চিঠি ভাসতে থাক,

যুদ্ধ, শান্তির সঙ্গমে জন্ম নিক এক ভিন্ন পৃথিবী,

হোক শান্তির জয়, 

শরণার্থী বাস্তু পাক।

লেখক: সাবেক সম্পাদক, চিরকুট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। 

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম দিন