উম্মে ফারহানা ।। গল্প ।। সাদাতের ফোন নাম্বার

0

ছবি: আরাফাত মারকনী

ইলা সাদাতের ফোন নাম্বার খুঁজে না পেয়ে খুব বিস্মিত হয়ে যায়। তার কাছে এন্ড্রয়েড ফোন নেই, তাই অনেক সময় মেমরি ফুল হয়ে যাবে বলে কিছু কম দরকারি ফোন নাম্বার সে ছোট একটা নোটবুকে লিখেও রাখে। যেন বেশি দরকারি কোন নাম্বার ডিলিট করতে না হয়। ব্যাগ খুলে সেই নোটবুকেও সাদাতের নাম্বার সে পায় না। আঁচলের নিচে হাত গলিয়ে ব্লাউজের নিচের হুকটা খুলে নেয় সে, ব্লাউজটা চাপাতে গিয়ে বেশি চেপে গেছে, নিচের হুক লাগানো থাকলে হাঁসফাঁস লাগছে। শাড়িটা তার বিয়ের সময়ে দেওয়া তিনটা মাত্র শাড়ির একটা, অনেক দিন পরা হয়নি। যে বিয়েই টিকে নেই সেই বিয়ের কোন জিনিস ব্যবহার করাটা ঠিক কি না সেই সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে আলমিরাতেই ফেলে রেখেছিল সে শাড়ি গয়নাগুলো। নীলা আপার বিয়েতে পরবে বলে শেষবার বাসা থেকে আসার সময় নিয়ে এসেছিল সবগুলো। যার ঘরসংসার নেই তার জন্য শাড়িগয়না বয়ে বেড়ানোটা এক বিড়ম্বনা।
এখন ইলা থাকছে তান্নির বাসায়, দিন পনের হলো আছে, একটা হোস্টেলে সীট পেয়ে গেছে, সামনের মাসে উঠতে হবে। ওয়ার্কিং উয়োম্যানদের হোস্টেল যেমনই হোক, কারো বাড়িতে আশ্রিত থাকার চেয়ে ভালো। তান্নি বা তার বর যদিও খুব আন্তরিক, কিন্তু স্থায়ীভাবে কারো বাসায় থাকা যায় না দিনের পর দিন। ওদের প্রাইভেসি নষ্ট হচ্ছে ভেবে এমনিতেই কুন্ঠিত হয়ে ছিল, হোস্টেলের সীট কনফার্ম হবার পর হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছে সে।
তান্নি তাকে বলছিল বিউটি পার্লারে যেতে, এই সময়ে এতগুলো টাকা খরচ করার মতন অবস্থা নেই তার। পার্টিমেকাপে যত কম পয়সাই লাগুক, সেটুকুই ইলার জন্য লাক্সারি এখন। তান্নি খুব সাজতে ভালোবাসে, কোন উৎসবঅনুষ্ঠানে সুযোগ পেলেই সাজে, এমনকি অফিসে যাবার সময়ও তার একটু কম্প্যাক্ট আর ম্যাসকারা মাখা চাই। ওর ড্রেসারের সামনে টুলে বসে ইলা বলেছিল, “দরকার নেই রে, তুইই একটু সাজিয়ে দিস না হয়, গায়ে হলুদই তো”। তান্নির একটু মন খারাপ হয়েছে, ইলা টাকা বাঁচাতে চাইছে এ কথা যে সে বুঝতে পেরেছে সেটা বুঝতে দিতে চায় নি। বলেছে, “আচ্ছা ঠিক আছে, মেকাপ না করলি, চুলে একটা খোঁপা করিয়ে নে, আমি নিয়ে যাব তোকে, ইন্সট্রাকশন দিয়ে দিলে ওরা খুব সুন্দর পারে”
এখন এই খোঁপা খুলতে লাগবে ঘন্টাখানেক, স্প্রে ট্রে দিয়ে যা একটা ব্যাপার করে বিউটি পার্লারে, নারকেল তেল ঘষে ঘষে ওঠানো একটা কাহিনি। কিন্তু এখন সাদাতের ফোন নাম্বারটা দরকার।গায়েহলুদে সে যাচ্ছে না এ কথা তান্নিকে জানাতে চায় না ইলা। পার্লারে তাকে সেট করে দিয়ে তান্নি গেছে খালাশাশুড়িকে দেখতে, কী না কি অপারেশন হয়েছে ওনার, রাতে ওখানেই খেয়ে আসবে। দারোয়ানের কাছে চাবি রেখে যেতে চেয়েছিল, ইলাই মানা করেছে। রাতে রুবিআপাদের বাসায়ই থাকবে ভেবেছিল। এখন তো মনে হচ্ছে সিঁড়িতে বসে তান্নিদের জন্য অপেক্ষা করে কাটাতে হবে। ফোন হাতে নিয়ে ভাবে জিজ্ঞেস করবে ওরা কত দূর। কিন্তু তাতে তান্নি জেনে যাবে সে যায়নি। নিজের উপর খানিক বিরক্ত হয় সে। কী দরকার ছিল এই বিয়েতে যাবার প্ল্যান করে। এটা তো সুমিদের সঙ্গে দেখা হবার আগেই বুঝতে পারা উচিৎ ছিল তার যে বিয়েবাড়িতে কেউ এক্সপেক্ট করছে না তাকে।
পার্লার থেকে বের হয়েই সুমি আর রুমি আপার সঙ্গে দেখা হয়েছে তার, ওরা বেশ অবাক হয়েছে তাকে দেখে, সে এখন ঢাকায় আছে এ কথা জানতো না হয়তো। সুমি রুমি হলো বাবার ফুপাতো বোনের মেয়ে, ওরাও নীলাআপার বিয়েতে যাবে আজ রাতে, সেই জন্যেই শপিং করতে বেরিয়েছিল। সুমি তার স্বভাবসুলভ স্বরে বলে উঠলো, “তুমিও যাবা? বাহ মজা হবে তাহলে, চলো এক সঙ্গেই যাই,আপা তোমার গাড়িতে জায়গা হবে না?ইলাপাকেও নিয়ে নেই আমরা?” রুমি তখন বললো, “জায়গা তো ম্যানেজ হবে, কিন্তু ইলা যে যাচ্ছে সেটা কি সবাই জানে?” ইলার বলতে ইচ্ছা করলো, “কেন তোমাদের মনে হলো যে আমি যাবো না?” কিন্তু বলল না। বড়চাচী সম্ভবত মাকেও বলেনি ইলাকে নিয়ে যেতে। তা না হলে মা কী এমন অসুস্থ যে গাজীপুর থেকে উত্তরা আসতে পারে না? ইলাকে না নিয়ে যেতে মন চায়নি বলে মা অসুখের অজুহাতে নীলার বিয়েতেই গেলো না। এ কথা বুঝে মায়ের উপর অভিমান হয় ইলার। শাড়ি আনছে সময় মা কেন বলল না যে তুই যাস না, ওরা কেউ চাইছে না নীলার বিয়েতে তার ডিভোর্স হয়ে যাওয়া চাচাতো বোনকে দেখাতে। রুবি আপা আর পান্না আপার শ্বশুরবাড়ির সবাই থাকবে, তারা হয়তো জানেও না ইলার তালাকের কথা, জিজ্ঞেস করবে জামাই কই, একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হবে।    
অথচ কত কত প্ল্যান ছিল নীলাপার বিয়ে নিয়ে।এটা পরবে, সেটা করবে, গায়ে হলুদে কোন গানের সঙ্গে নাচবে। মানিকজোড়ের মতন থাকতো তারা দুই বোন, একই স্কুলকলেজে পড়েছে, জামাকাপড় পালটে পালটে পরত দুজনে, অনেকেই ভাবতো তারা আপন বোন, নামেও এমন মিল যে বোঝার উপায় নেই এক মায়ের পেটের বোন নয়। ইলা সুমি আর রুমি আপার কাছে বিদায় নেয়, বলে যে তার বান্ধবির গাড়ি আছে, যাবার অসুবিধা হবে না। তান্নির বাসায় রিকশা করার আগে নীলাআপাকেই ফোন করে, ফোন বেজেই চলে, কেউ ধরে না। অবশেষে রুবি আপার মেয়ে রিয়াসাতকে ফোন করে। রিয়াসাত বলে যে সবাই কমিউনিটি সেন্টারে পৌঁছে গেছে, বাসায় আর কেউ নেই। সে যেন সরাসরি সেখানেই যায়। ইলা আশপাশে নীলাপার গলা শুনতে পাচ্ছিলো, চাইতে গিয়েও চায় না। দরকার নেই তাকে অস্বস্তিতে ফেলার। নীলাপা নিশ্চয়ই মুখের উপর বলবে না যে তুই আসিস না, আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সামনে এই বাড়ির মেয়েদের যে তালাক হয়েও যেতে পারে সে কথা স্বীকার করতে চাই না আমরা।
রিকশায় বসেই সাদাতের ফোন নাম্বার খোঁজে। সাদাত তার আগের অফিসের কলিগ। চাকরিটা ছ’মাসের মধ্যে ছেড়ে দিতে হয়েছিল তাকে, বেতন ঠিকমত দিতো না, কাজের চাপও ছিল খুব। দুই একজনের সঙ্গে সখ্য হলেও ছেড়ে আসতে খুব একটা খারাপ লাগেনি। সাদাত অবশ্য তেমন বন্ধু টাইপের কেউ নয়। শুরুতে মনে হয়েছিল বন্ধুত্ব সম্ভব, পরে দেখা গেলো সাদাত ইলাকে ফ্লিং হিসেবে নিয়েছে। তালাকী মেয়ে, সিরিয়াস সম্পর্ক না হোক, খুচরো ডেইট বা ওয়াননাইটস্ট্যান্ডে তো যাওয়াই যায়- এমন একটা ভাব। সাদাতকে এজন্য আলাদা করে দোষ দেয় না ইলা। একবার ডিভোর্স হলে মেয়েরা এমন সস্তাই হয়ে যায় সমাজের সবখানে। সাদাত এমন কেউ নয় যে আলাদাভাবে চিন্তা করবে।
এমনিতে ছেলেটা কোম্পানি হিসেবে বেশ, সেন্স অফ হিউমার আছে যথেষ্ট। তাকে এড়িয়ে যাওয়ার একটামাত্র কারণ, সে কোন ফ্লিংগিঙে যেতে চায় নি তখন। তালাকী মেয়ে মানেই যৌবনজ্বালায় জ্বলছে, একবার ডাক দিলেই সুড়সুড় করে শুয়ে পড়বে এমন ভাবতে যারা চায় তারা ভাবুক। শোয়ার ব্যাপারে ইলার খুব শুচিবায়ু আছে এমন না, সাদাতকেও অপছন্দ ছিল না, কিন্তু এই “তোমরা যারা একবার বিবাহ করিয়াছ এবং টিকাইতে পারো নাই” ধরনের মনোভাবটা বেশ বিরক্তিকর। শর্তহীন সম্পর্কে যেতেও সে রাজি, কিন্তু শুধুমাত্র তালাক হয়েছে বলে দুয়েকটা প্রেমের কথাও তার প্রাপ্য হয়না এমন ভাবতে গা জ্বালা করে, যৌবনজ্বালা নিভে যায়।
আজরাতে সাদাতকে দরকার, ইলা মনে করে দেখে আর কোন সিঙ্গেল পুরুষবন্ধু তার আছে কি না, যার সঙ্গে রাতটা কাটানো যেতে পারে। কিংবা এমন কোন মেয়ে বন্ধু যার বাসায় একটা রাত ঘুমানো যায়। তান্নিকে সে কিছুতেই বলবে না নীলা আপার হলুদে সে যায়নি, বা যেতে পারেনি। তান্নিকে কত গল্প করেছে সে নীলাপার সঙ্গে বেড়ে ওঠা শৈশব কৈশোরের। শোয়েবের সঙ্গে বিয়ের আগে একবার তান্নিকে নিয়ে গাজীপুর গিয়েওছিল। নীলাপা তখন বাসায় অতিথি আসলেই ট্রে নিয়ে বসার ঘরে যাবার ধাপে, ইলার বিয়ের কথা বাড়ির কারো মাথায়ই আসেনি। ইলা প্রেম করে শোয়েবকে বিয়েটা না করে ফেললে বাড়ি থেকে সবাই সিরিয়াল মেইন্টেন করার কথাই ভাবতো, বড়বোনের বিয়ের আগে আবার ছোটবোনের বিয়ে হয় কী করে? এক মাবাপের মেয়ে না হোক, এক বাড়ির মেয়ে তো তারা।
তান্নির সঙ্গেও নীলাপার খুব জমেছিল, জমবে না-ই বা কেন? তান্নি যেমন প্রাণের বন্ধু ইলার, তার সবকিছুই তান্নির পছন্দ। শোয়েবের সঙ্গে প্রেম করার সময় শোয়েবকে পছন্দ ছিল, বিয়ে ভেঙ্গে যাবার পর শোয়েবের চেহারাও দেখতে চায় না তান্নি। নীলাপা রুবি আপা পান্না আপা সবাই খুব খুব প্রিয় তান্নির। আবার ফোন বের করে ইলা, কারো একটা ফোন নাম্বার দরকার যার কাছ থেকে সাদাতের নাম্বার নেওয়া যাবে। সাদাতকে ফোন করলেই যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তা-ও না। তার অন্য কোন ডেইট থাকতে পারে, থাকতে পারে কোন না কোন ব্যস্ততা। কিংবা এখন ইলার প্রতি আগ্রহও না থাকতে পারে। কিন্তু চেষ্টা করে দেখা যায় তো বটেই। আর অত চরিত্র রক্ষা করে হবেটা কী ঘোড়ার ডিম? শরীর তো তারও একটু আধটু জ্বলে। তান্নি আর তার বর যখন ঘরের দরজা আটকায় তখন একা বসার ঘরের মেঝেতে রাখা জাজিমের বিছানায় শুয়ে তারওতো একটু একা একা লাগে মাঝেমধ্যে।
আগের অফিসের বসের নাম্বারটা রয়ে গেছে। ওনার কাছে সাদাতের নাম্বার চাইলে ব্যাপারটা বোকামি হবে, গসিপ করতে পারেন বস ভদ্রলোক, যদিও উনি বিবাহিত আর এক বাচ্চার বাবা, কোন স্ক্যান্ডাল তেমনভাবে না থাকলেও চাউনিটা খুব নির্দোষ ছিল না। কাজকর্ম করে খেতে গেলে এসব বসদের দৃষ্টি ইগনোর করতে হয়। মনে পড়ে যায় নীলাপা কীভাবে মৌলবি স্যারের ব্যাপারে সাবধান করে দিয়েছিল তাকে। ক্লাস সিক্স থেকে আরবি ক্লাস, নীলা আপা তখন নাইনে, আরবি আর নেই তার। সিক্সে উঠতেই বলে দিয়েছিল, আরবি ক্লাসে যেন স্কার্ফ মাথায় না দিয়ে বুকের উপর ফেলে রাখে। বলেছিল, “স্যার কিন্তু কইবো, মাথায় কাপড় দে, দিবিনা, ব্যাটার নিয়ত খারাপ”। আহা নীলাপা, আজকে কেমন লাগছে জানি নীলাপাকে, খুব সুন্দর লাগার কথা, আচ্ছা ওর চুলে কি গোলাপ দিয়ে সাজিয়েছে না রজনীগন্ধার পেন্ডুলাম?খোঁপা করেছে না বেণী? এই রজনীগন্ধার পেন্ডুলাম জিনিসটা দুচোখে দেখতে পারতো না নীলাপা।হলুদ জারবেরা লাগিয়ে দিয়েছে নাকি? নিজের বিয়েতে কীভাবে সাজবে সব ঠিক করে রাখা ছিল ওর, এমনকী বাড়ির আলোকসজ্জা নিয়েও সুনির্দিষ্ট মতামত ছিল ওর, বিয়েবাড়ির আলো জ্বলে থাকবে জ্বলে নেভে হলে হবে না।
আজ নীলাপার গায়ে হলুদে কি ঐ গানটা বাজাবে কেউ? গানটা বের হয়েছে সময় সে হাইস্কুলে আর নীলাপা কলেজে, খুব হিট খেয়ে গেল হঠাৎ করে শাবনূরের কোন এক ছবির গান, “আসসালামুআলাইকুম বিয়াই সাব, ওয়ালাইকুম আস সালাম বিয়াইন সাব”। এই গানের সঙ্গে নীলাপার গায়ে হলুদে নাচবে এমন পণ করে ফেলেছিল তখন, নীলাপা তখন বলেছিল, “বিয়াইন সাবের বুকের জমির বড় দাম’ এই জায়গায় কিন্তু বুক ঝাঁকাইতে হবে, নাইলে নাচ হবে না”।
একটা এন্ড্রয়েড ফোন থাকলে নেট চালু করে মেসেঞ্জারে খোঁজা যেতো সাদাতকে। শোয়েব বহুদিন ধরেই বেশ ভাল একটা ফোন ব্যবহার করে, নীলা হালকাভাবে বলেছিল সেও এমন একটা ফোন ব্যবহার করতে চায়, শোয়েব কানে তোলেনি। যে ছেলে তিনপদের গয়না না দিয়ে, তিনটার বেশি শাড়ি না দিয়ে বিয়ে করে বউ তুলে নিতে পারে, নিজের দায়িত্বে যে সন্তান প্রেমিকার গর্ভে এসেছে সে সন্তানকে বাঁচাবার জন্য বিয়ে করে প্রেমিকাকে উদ্ধার করছে এমন ভাব নিতে পারে তার কাছে বায়না আবদার করাও খুব স্বস্তিদায়ক নয়। খুব একটা করেওনি কখনো ইলা, শুধু ফোনের কথাই বলেছিল, সেটা না পেয়ে আর কোন কিছুই চায়নি। বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যাবার পর সম্পর্ক দিন দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছিল, তখন ভার্সিটি যাবার যাতায়াত ভাড়া বা নোটপত্র ফটোকপি করার টাকা চাইতেও ইচ্ছা করতো না। খালি মনে হতো ক্লাসটাসগুলো যেন প্যারোল, শেষ হতেই দৌড়ে আবার জেলে ঢুকে যাচ্ছে সে। জেলারের কাছে কয়েদি কবে আর আহ্লাদ করে বায়না আবদার করেছে?
শোয়েবের কথা মনে পড়ে ইলা সিদ্ধান্ত নেয় শোয়েবকেই ফোন করবে। এতক্ষণ একা একা সিঁড়িতে বসে মশার কামড় খাওয়া বিরক্তিকর। ফোনটা হাতে নিয়ে শোয়েবকে ফোন করার সিদ্ধান্তও বাতিল করে দেয় সে। ইয়ারফোন লাগিয়ে এফ এম রেডিও চালিয়ে অর্ণবের কন্ঠ শুনতে পায়- “এত প্রেম আমি কোথা পাবো নাথ তোমারে হৃদয়ে রাখিতে?”

লেখক: গল্পকার। শিক্ষক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম দিন