রিয়েল আবদুল্লাহ’র দুটি কবিতা

0

আর্টওয়ার্ক: নগরবাসী বর্মন

দুঃখ জীবন

জীবন ও দুঃখ 
অভিন্ন অনুভূতির দরদ
তবুও দুঃখটাকে কেউ বুঝে না।

যারা বুঝতে পারে 
দুঃখ সুখেই জীবন
তারাই সংশয় কাটিয়ে 
মুঠোয় ধরতে পারে
ভোরের রোদ্দুর। 

কেউ হয়তো 
কচি কচি রোদ ধরে 
বুক পকেটে রাখে
কেউ হয়তো উড়িয়ে দেয়
শাদা পায়রার মতো
সুখবৃষ্টি হবে প্রত্যাশায়
যদিও সে বৃষ্টি নির্বাসনে
কাটে নিরর্থক প্রতীক্ষায়।

সুখের পিঠে দুঃখ 
এক বর্ণিল উপমা যেন
নদী ও নারী যেমন একাকার।
দুঃখের মাঝে সুখ খুঁজে 
চলে যায় জনম
ক্ষিপ্ত অনুভূতি-
সুখ ও দুখের সঙ্গমে 
বিরচিত হয় যতো
অব্যক্ত পঙক্তিমালা।

বনলতা করোনিতো ক্ষমা

ভালোবাসা এক ঢেড় নির্ঘাত সুডুকুর খেলা
খেলে যাও খেলারাম সময় রয়েছে মেলা
বুঝবে অনিশ্চিত ফলাফল মেলানোর ঠেলা!

সুডুকুর অন্ত্যমিল বুঝেছ বলেই কি সানন্দ
ঘাস হয়ে ফিরে আসে অক্ষরে অক্ষরে ছন্দ
অন্ধকারে ডুবিয়ে রাখো যতসুধা জীবনানন্দ। 

কার জন্য রচো কবিতা-ভাবে এতো গাম্ভীর্য 
হাজার বছর পথ হেঁটে শেষে নাটোরের পাড়া
বনলতারে দেখে ঢেলে দাও যত শৌর্যবীর্য। 

হায় বনলতা অদ্ভুত রহস্যময়ী অপূর্ব অনুপমা
ভালোবেসে কবি ঘুরে বিশ্বনগর-বিশ্বশহর
তব ভিখারি করেছো তারে করোনি তো ক্ষমা।

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম দিন