আর্টওয়ার্ক: রাশেদ সুখন এক দুই তিন গুনেছি, পরে দশ এগারো সপ্তাহ ধরে গুনেছি, এখন আর গুনিনা আঙুলে ব্যাথা নয়, শতশত গোনাগুনি স্বয়ংক্রিয় মেশিনে চলছে সেই নিত্য কাজ। প্রতিদিন বেলা আড়াইটার অপেক্ষা করি আমার মত হাজারো চোখ তাকিয়ে থাকে সব ব্যস্ততা পেছনে ফেলে অধীর আগ্রহে অবশেষে পর্দায় খবর দেয়- মৃত্যুপাঠক! হাতে গোনা অঙ্কটা কেউ আর মনে রাখেনা ক্ষণেক্ষণে উল্টে যায় অঙ্কের রঙিন পাতা বেখেয়ালিরা জানতে চায়- আজ কত! পরে "ওহ" বলে চলে যায় বাজারের ভিড়ে। বড়বাবুর চিঠিতে মাইকিং হয় সারা শহর রিক্সার প্যাডেলে তাকিয়ে হেসে মরে মজনু নিয়ম বদলে অনিয়ম হয়েছে- নতুন নিয়ম ছিটকিনির ফাঁদে ছটফট করে সাহাবুদ্দিন! সব সহে গেছে, আঙুল পেয়েছে লম্বা ছুটি মৃত্যুর মিছিলে নতুন যাত্রীর টিকেট সংকট ঠাণ্ডা ঘর থেকে খবর নেয় দেশের বাবুরা মুরগীর খামারে করোনায় কাঁদে সাহসী দম্পতি!
লেখক: নূরে আলম সিদ্দিকী নূর বিরামপুর, দিনাজপুর। মোবাইল: ০১৭১৮১৭০০০২