ছবি: আরাফাত মারকনী
মেঘের দেশের চিঠি আসে
রোদের আলো মেখে হাসে
শাপলা ফোটা বিল,
ঘুড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে
আকাশে উড়ে চিল।
এক গাঁয়ের মেঘ ভেসে
আরেক গাঁয়ে যায়,
রোদের হাসি ঝালর কাটে
মেঘের সীমানায়।
গাছপালার ছায়ার তলে
রাংসা নদীর বাঁকে
ধরতে মাছ এক পায়ে বক
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে।
দুষ্টু ছেলে ধরতে মাছ
বিলের জলে নামে,
মেঘের দেশের চিঠি আসে
রংধনুর খামে।
মেঘলা দিনে
মেঘলা দিনে মেঘের কাজল
আকাশ চোখে পড়ে
সেই চোখেরই কান্নার জল
বৃষ্টি হয়ে ঝরে।
গাছপালা সব যাচ্ছে ভিজে
কাকেরা সব চুপ
শাপলাফোটা বিলের ভেতর
পানকৌড়ি দেয় ডুব।
মনের ভেতর জাগায় সাড়া
পুব হাওয়ারই দোলা,
মেঘেরা সব আয়রে নেমে
হৃদয় দোয়ার খোলা
হয়না এখন
হয়না এখন আগের মতো
নদীর ধারে যাওয়া,
জয়নুল পার্কে বসে বসে
মুক্ত বাতাস খাওয়া।
গাছগাছালির নিচে পেতাম
দূরের গাঁয়ের দেখা
ফুল পাখির কাছে হতো
অনেককিছু শেখা।
গাছের পাতার শব্দে পেতাম
নতুন দিনের ছন্দ
পূব হাওয়াতে আসতো ভেসে
কদম ফুলের গন্ধ।
বলাকার ঝাঁক যেতো উড়ে
মেলে শুভ্র ডানা,
ঘাসের বনে খুঁজতো খাবার
শালিক পাখির ছানা।
বেঞ্চের উপর নানা রকম
ফুল পড়তো ঝরে,
এসব এখন হয়না দেখা
বসে আছি ঘরে।
লেখক: ছড়াকার। শিক্ষক, সরকারি আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ।
[…] চয়ন বিকাশ ভদ্র ।। তিনটি ছড়া […]