ছবি: শেখ সুজন আলী।
দীপশিখার মিটি আলোর রেখা ছুঁয়ে, গড়ে ওঠে দস্যি মেয়ের কুড়েঘর। অসূর্যস্পর্শা চোখের পাতায় কেঁপে ওঠে ভবিষ্যৎ! আচমকা ঘরে হানে রুদ্রঝড়ের দাপট! তারপর- নাম ওঠে ধর্ষিতার খাতায়। 'কালো হাত! মুখ বাধা ছিলো ওদের!' মৃত্যুর এপিটাফের সামনে দাঁড়িয়ে বুলি আওড়ায় শুধু। শুনে হাসে পাশের বাড়ির বড়বাবু। 'আজকালকার মেয়ে দস্যি বড়! দেখনা মিথ্যে বলছে সব- জামাকাপড়ের শ্রী! বালাই ষাট!' মিথ্যের কাছে মাথা নোয়ায় আরো কত মানুষ! প্রকৃতির কানে বেজে ওঠে মিথ্যের প্রতিধ্বনি! ধিক ধিক করে বেড়ে ওঠে মাকড়সার জালের মতন। শিশুরা হাসতে ভুলে যায়- কবির কলমের অক্ষর যায় থেমে। তারপর, অনেক দিন পর, আবার বাতাসের সাথে ভেসে আসে ফিসফিসানি। হাসপাতালের এক কোণে শুয়ে আছে বড়বাবুর মেয়েটা! বিড়বিড় করেই চলছে, 'কালো হাত, মুখ বাধা ছিল ওদের...'
লেখক: শিক্ষার্থী, জাককানইবি।