আর্টওয়ার্ক: নগরবাসী বর্মন
দীর্ঘ রসায়ন
রসায়ন আজ পূর্ণ তোমার,
সাজানো বাগানে নিজস্ব কাব্য।
তীব্র ইচ্ছা আবৃত্তি শোনার,
তাইতো হঠাৎ-ই আমি খুব সভ্য।
নিরব হয়ে অধীর আগ্রহে,
ভাষ্য শুনি, ভেবে হই মুগ্ধ৷
রূপের পূর্ণতা গুণের প্রবাহে,
দৃষ্টি বিনিময়ে দু'জন শুদ্ধ।
জটিল,শুভ পর্বের উন্মোচন মিছিল,
দীর্ঘ প্রেমের অগাধ রূপান্তর শেষে।
সময় প্রান্তরে ফিরবে রংধনু নীল,
সুর মিলাবে কাহিনীর রানী হেসে।
বর্ধিত ভালোবাসার আমি সম্পূর্ণধারী,
সূর্য হাসে, দেখে প্রেমের জটিল ফুলকি।
ভাস্বর মুখমন্ডলে তুমি অনন্য এক নারী
মহাশয়া আমি অভিভূত! একি ভেলকি!
আমার পৃথিবীর হাসির কারণ,
তুমি বলার শক্তি, কণ্ঠের উচ্চারণ৷
সম্মতির অপেক্ষা
মেঘের আড়ালে তুমি,
হঠাৎ নির্বাসন মুহূর্তে।
বিস্তৃত এই আকাশ, সম্মতির অপেক্ষায়
কালো মেঘের আড়ালে,
তুমি এসে দাঁড়ালে,
পুনর্বার দেখবো তোমায় আমি।
প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে,সভ্যতার নির্বাসন ;
ফাগুন অহংকারে হারায়,সম্মতির অপেক্ষায়।
হঠাৎ নির্বাসন মুহূর্তে,
আর্তনাদ,অন্ধকার, সূর্য নেই,
হৃদয়ে আলো নেই,
ভয় মনটা জুড়ে,সম্মতির অপেক্ষায়৷
প্রভাত রৌদ্রের ঝিলিকে তুমি,
মুখ তুলে তাকালে।
উত্তপ্ত অগ্নিকুণ্ড হঠাৎ শীতল,
তোমার অবসন্ন দৃষ্টিতে মায়ার প্রভা।
আমার পুলকিত মনে প্রণয়ের আভা,
চাঞ্চল্য সাজে, শুভদৃষ্টি; সম্মতির অপেক্ষা।
ভাষা নেই, কণ্ঠ নিস্তব্ধ
চারিদিক অনেক সজ্জিত, লজ্জিত।
মুহুর্তে প্রস্থান ;আলোড়ন কাঁপুনি বুক জুড়ে
বলছি.. 'ভালোবাসি তোমার হাত ধরে '।