ছবি: ফেসবুক
লেখক পরিচিতি: লুইজি পিরানদেল্লো একজন ইতালীয় নাট্যকার, কথাসাহিত্যিক ও কবি। জন্ম ১৮৬৭ সালে, সিসিলিতে। “মনোস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণকে উত্তম নাট্যরূপ দেয়ার জাদুকরী শক্তির জন্য” তাকে ১৯৩৪ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। পাশাপাশি রচনায় তথাকথিত অস্পষ্টতার কারণে হন সমালোচিত। তাঁর ট্রাজিক প্রহসনকে এবসার্ড নাট্যধারার পথপ্রদর্শক বলা হয়। তাঁর লেখার অনেকখানি জুড়ে রয়েছে মানসিক সমস্যা, কুহক এবং বিচ্ছিন্নতা। তাঁর পরবর্তী নাট্যকারদের ওপরে রয়েছে তাঁর স্পষ্ট প্রভাব। ১৯৩৬ সালে রোমে মৃত্যুবরণ করেন ইতালির মহান এই সাহিত্যিক।
নৈশকালীন এক্সপ্রেসে যে সকল যাত্রী রোম ছেড়ে চলে যাচ্ছিল, তাদেরকে রেলক্রসিংয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল ফ্যাব্রিয়ানোর সেকেলে ছোট্ট লোকাল স্টেশনে, যাতে তারা সালমোনার প্রধান লাইনের সাথে যুক্ত হতে পারে।
ভোরে, শোকসূচক পোষাক পরিহিত কদাকার স্তুপের মত একজন বিশালাকায় মহিলা দ্বিতীয় শ্রেণীর একটা গুমোট আর ধোঁয়াটে কামরায় এসে উঠেছিল। সেখানে ইতোমধ্যেই পাঁচজন মানুষ ছিল, পুরো রাতটা তারা সেখানে বসেই কাটিয়েছে। মহিলাটির পেছন পেছন হাঁপাতে হাঁপাতে তার স্বামীও উঠে এল। ছোটখাটো একজন মানুষ সে, পাতলা আর দূর্বল, কিছুটা অস্থির আর লজ্জিত। মরা মানুষের মত সাদা তার মুখ, ছোট ছোট উজ্জ্বল দুটো চোখ।
অবশেষে একটা সীটে বসে তার স্ত্রীকে কামরায় উঠতে সাহায্য করার জন্য লোকটা অত্যন্ত ভদ্রভাবে অন্য যাত্রীদেরকে ধন্যবাদ জানাল। তারপর মহিলাটির দিকে ফিরে তার কোটের কলারটা নামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করল, ‘তুমি ঠিক আছ তো প্রিয়?’
ভদ্রমহিলা কোন জবাব না দিয়ে মুখটা আড়াল করার জন্য পুণরায় নিজের কলারটা তুলে নিল।
‘জঘন্য এই পৃথিবী,’ বিড়বিড়িয়ে বলল লোকটা, একটা দুঃখের হাসি তার মুখে।
যাত্রাসঙ্গীরা যেন কিছু মনে না করে সেজন্য লোকটা একটা ব্যাখ্যা দেয়ার তাগিদ বোধ করল। যুদ্ধ এই নারীর কাছ থেকে তার সন্তানকে কেড়ে নিয়েছে। বিশ বছর বয়সী একটি ছেলে ছিল তাদের যাকে তারা জীবনের চেয়েও বেশি ভালবাসত। এমনকি সালমোনার ঘরবাড়ি ছেড়ে তারা রোমে পর্যন্ত চলে গিয়েছিল ছেলের জন্য। সেখানে সে পড়াশুনা করত। তারপর যুদ্ধ শুরু হলে স্বেচ্ছাসেবার জন্য তাকে অনুমতিও দিয়েছিল তারা। শর্ত ছিল, অন্তত ছয় মাসের আগে তাকে সম্মুখসমরে পাঠানো হবে না। কিন্ত এখন হঠাৎ করে একটা টেলিগ্রাম পেয়েছে তারা। সেখানে বলা হয়েছে, তাকে তিন দিনের মধ্যেই যুদ্ধে যেতে হবে। সন্তানকে বিদায় জানানোর জন্য ডাকা হয়েছে তাদের।
কোটের দীর্ঘ অবগুন্ঠনের মধ্যে বারবার মহিলাটি মুচড়ে উঠছিল, কখনো কখনো বন্য প্রানীদের মত গজরাচ্ছিল সে। তার মনে হচ্ছিল এইসব ব্যাখ্যা এমনকি একটা সমবেদনার ছায়াও তৈরি করতে সক্ষম নয়, বিশেষ করে সেইসব মানুষের সামনে যারা নিজেরাও খুব সম্ভবত তার মতই সঙ্কটাপন্ন দশায় আছে। ওদের মধ্যে যে লোকটা খুব মনযোগ সহকারে কথাগুলো শুনছিল, সে বলল, ‘আপনার ছেলে যে সম্মুখসমরে এখনো বেঁচে আছে সেজন্যই আপনার উচিত ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানানো। আমার ছেলেটাকে তো যুদ্ধের শুরুর দিনেই সেখানে পাঠানো হয়েছে। দুইবার আহত হয়ে প্রাণে বেঁচে ফিরে এসেছিল সে, এখন তাঁকে আবার সেখানে পাঠানো হয়েছে।’
অন্য আর একজন যাত্রী বলে উঠল, ‘আর আমার কি হয়েছে? আমার দুই ছেলে আর তিন ভাইপো এখনো সেখানেই আছে।’
উত্তরে ভদ্রমহিলার স্বামী সাহস করে বলল, ‘হতে পারে, কিন্তু ও তো আমাদের একমাত্র সন্তান।’
‘তাতে তফাৎটা কোথায়? অতিরিক্ত যত্নে লালিত আপনার একমাত্র ছেলেকে হয়ত বিসর্জন দিতে পারেন আপনি, কিন্তু আপনার যদি আর কোন সন্তান থাকত তারপরেও আপনি তাকে অন্য সন্তানদের চেয়ে বেশি ভালবাসতে পারতেন না। পিতৃস্নেহ কোন পাউরুটি নয় যে তা সমান ভাগে ভাগ করে দেয়া যায়। একজন পিতা ভালবাসার ক্ষেত্রে বৈষম্য করতে পারেনা, সবটুকু ভালবাসাই সে দিয়ে দেয় সন্তানদের, সেটা একজনই হোক অথবা দশজন। আমি আমার দুই সন্তানের জন্যই কষ্ট পাচ্ছি, এবং সেটা প্রত্যেকের জন্য অর্ধেক অর্ধেক কষ্ট নয়, বরং সেই কষ্ট দ্বিগুণ…’
‘হ্যাঁ, সত্যিই… সত্যিই…’ বিব্রত স্বামীটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, ‘কিন্তু মনে করুন, অবশ্যই আমরা কেউই চাইনা এরকম হোক, একজন পিতার দুই সন্তান সম্মুখসমরে আছে আর তাদের মধ্য থেকে একজনকে সে হারালো, তবু তাকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য অন্যজন কিন্তু থাকবে… যেখানে…’
অন্য আরেকজন তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলল, ‘হ্যাঁ, তাঁকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য একজন থাকবে এবং সেই পিতাও বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পাবে। অন্যদিকে যে পিতার একমাত্র সন্তান যুদ্ধে মরে যায়, তার বেঁচে থাকার মত কিছুই থাকে না, তাইতো? এই অসুস্থ আলাপ বন্ধ করুন আপনারা। দুটো অবস্থানের মধ্যে কোনটা বেশি খারাপ? আপনারা বোঝেন না আপনাদের চাইতেও অনেক বেশি দুর্দশাগ্রস্ত ঘটনা থাকতে পারে?’
অন্য একজন মোটা, লালমুখো, পান্ডুর ও আরক্তচোখা যাত্রী বলে উঠল, ‘ছাইভস্ম!’। জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছিল সে। অনিয়ন্ত্রিত উত্তেজনায় ভরা তার স্ফীত চোখদুটো অন্তর্গত হিংস্রতা ছড়িয়ে দিচ্ছিল অথচ তার দুর্বল শরীর যেন তা বহন করতে পারছিল না। সামনের দুটো দাতের অনুপস্থিতিকে আড়াল করার চেষ্টায় হাতটা মুখের ওপর চেপে ধরে সে আবার বলে উঠল, ‘ছাইমাথা!, ফালতু!, আমরা কি নিজেদের স্বার্থের জন্যই সন্তান জন্ম দেই?’
অন্য যাত্রীরা ভারাক্রান্ত চোখে তার দিকে তাকাল। যেই যাত্রীটির সন্তান একদম প্রথম দিন থেকেই যুদ্ধে আছে সে জোরে জোরে শ্বাস টেনে বলল, ‘আপনি ঠিক বলেছেন, আমাদের সন্তান আমাদের জন্য নয়, তারা দেশের জন্য…’
‘ধ্যাৎ,’ রাগতস্বরে যাত্রীটি বলল। ‘আমরা সন্তান জন্ম দেয়ার সময় কি দেশের কথা ভাবি নাকি? আমাদের সন্তানেরা জন্মায় কারণ… কারণ তাদেরকে জন্মাতেই হয়, এবং যখন তারা জন্মে যায় তারা আমাদের জীবনটাকেও নিয়ে যায় তাদের সাথে। এটাই সত্য। আমরা তাদের জন্য কিন্তু তারা কখনই আমাদের জন্য নয়। এবং যখন তাদের বয়স বিশ বছর হয়, তারা একদম তেমনই হয়ে ওঠে যেমনটা আমরা ছিলাম একসময়। আমাদেরও একজন বাবা আর একজন মা ছিল। কিন্তু আরও অনেক কিছুই ছিল তার সাথে সাথে… সিগারেট, নারী, মোহ, নতুন টাই… এবং মাতৃভূমি। অবশ্যই, কার ডাকে আমরা সাড়া দিয়েছিলাম যখন আমাদের বয়স বিশ বছর ছিল? এমনকি বাবা মা নিষেধ করার পরেও? এখন এই বয়সেও দেশের জন্য আমাদের ভালবাসা আছে, কিন্তু তার চেয়ে সন্তানদের প্রতি আমাদের ভালবাসা বেশি শক্তিশালী। আমাদের মধ্যে কি এমন কেউ আছে, সম্ভব হলে যে খুশিমনে তার সন্তানের বদলে নিজেই সম্মুখসমরে যেতে চাইবে না?’
চারিদিকে নীরবতা নেমে এসেছিল। সবাই সম্মতির চোখে তাকিয়ে ছিল।
মোটা লোকটা বলে গেল, ‘আমাদের কি বিবেচনা করা উচিত নয় আমাদের সন্তানদের যৌবনের এই অনুভূতিকে? এই বয়সে দেশের জন্য ভালবাসাকে তারা গুরুত্ব দেবে এটাই কি স্বাভাবিক নয়? (অবশ্যই আমি ভাল সন্তানদের কথাই বলছি)। এমনকি আমাদের প্রতি ভালবাসার চেয়েও দেশকে বেশি ভালবাসবে না তারা? এরকম হওয়াটাই কি স্বাভাবিক নয়? যদিও খুব বেশি বৃদ্ধ যেসব পিতামাতা, যারা নড়াচড়া করতে পারেনা, বাইরে যেতে পারেনা, তাদের প্রতি অবশ্যই দায়িত্ব রয়েছে সন্তানদের। কিন্তু যদি দেশ থাকে, যদি দেশ ব্যাপারটা একটা স্বাভাবিক প্রয়োজনীয়তা হয়েই থাকে, যেমন ধরুন রুটি, ক্ষুধা নিবারণের জন্য যা আমাদের খেতেই হবে, তাহলে কাউকে না কাউকে তো তাকে রক্ষা করতে যেতেই হবে। এবং আমাদের সন্তানেরাই যায় এভাবে, যখন তারা যুবক, তারা অশ্রু চায় না কারণ যদি তারা মারা যায়, সে মৃত্যু তাদের কাছে সুখের, গৌরবের (আমি অবশ্যই ভাল সন্তানদের কথাই বলছি)। তো যদি কেউ হাসিমুখে মরে যায়, জীবনের কদর্যতাকে ফিরিয়ে দিয়ে, জীবনের একঘেয়েমি আর করুণা উপেক্ষা করে, মোহমুক্তির তিক্ততা ভেঙে কেউ যদি মরেই যায় তাহলে আমরা আর কি চাইতে পারি তার কাছে? কান্নাকাটি বন্ধ করে প্রত্যেকের বরং খুশি হওয়া উচিত, যেমন আমি খুশি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমি অন্তত খুশি, কারণ আমার পুত্র মারা যাওয়ার আগে আমাকে বার্তা পাঠিয়েছে, বলেছে সে যেভাবে চেয়েছিল, সেই শ্রেয় পথেই সন্তুষ্টি নিয়ে মারা যাচ্ছে সে। একারণেই, আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, আমি এমনকি মন খারাপও করতে পারছি না…’
নিজের মুখটা দেখানোর জন্য সে তার কোটের কলারটা নামিয়ে দিল, ফোকলা দাতের ওপরে বিবর্ণ তার ঠোঁটদুটো কাঁপছিল। তার নিঃস্পন্দ চোখদুটো ছলছল করছিল, এবং তারপরেই সে উগ্রভাবে হেসে উঠল, যেটাকে বরং ফুঁপিয়ে ওঠাই বলা যেতে পারে।
‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন আপনি…’ অন্যরা বলে উঠল।
মহিলাটি এতক্ষণ এককোণে তার কোটের ভেতরে বুঁদ হয়ে শুনছিল কথাগুলো। বিগত তিনমাস ধরে গভীর দুঃখের মধ্যে নিমজ্জিত থেকে স্বামী ও বন্ধুবান্ধবদের বলা কথাগুলোর মধ্যে সান্ত্বনা খুঁজে ফিরছিল সে। এমন কিছু খুঁজে ফিরছিল যা একজন মাকে তার সন্তানের আহত হওয়া বা এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেয়ার মত ভাবনা থেকে নিস্তার দিতে পারে। কিন্তু কারো কথার মধ্যেই যথার্থ কোন কিছু পায়নি সে। সে ভেবেছিল তার মনের যন্ত্রণাগুলোকে প্রকাশ করতে না পারার মত দুঃখ আর কিছুতেই নেই। কিন্তু পুত্রহারা এই যাত্রীর কথাগুলো তাঁকে বিস্মিত করে তুলল, স্তদ্ধ করে দিল। সে বুঝতে পারল, ব্যাপারটা এমন নয় যে আত্মীয়স্বজনেরা তাঁকে বুঝতে পারত না বা সান্ত্বনা দেয়ার বৃথাই চেষ্টা করত। বরং সে নিজেই সেইসব বাবা মায়ের মত উচ্চতায় উঠে আসতে পারত না যারা অশ্রু না ঝরিয়েই সন্তানবিচ্ছেদ, এমনকি সন্তানের মৃত্যুর সাথেও নিজেদেরকে মানিয়ে নিয়েছে।
সে মাথা তুলে তাকাল, চেষ্টা করল আরও মনোযোগের সাথে শুনতে সেইসব বিস্তারিত কথা যা ঐ মোটা লোকটা তার সাথীদের বলছিল। কোন রকমের অনুতাপ ছাড়াই রাজার জন্য, দেশের জন্য একজন নায়কের মত তার সন্তানের হাসিমুখে জীবনকে উৎসর্গ করার কথা। তার মনে হল সে এমন এক পৃথিবীতে এসে পড়েছে যা সম্পর্কে তার কোন ধারণাও ছিল না, একদম অপরিচিত এক পৃথিবী, এবং সে খুশি হল দৃশ্যটি দেখে, যখন প্রত্যেকেই পরম নির্বিকারভাবে সন্তানের মৃত্যুর কথা বলে যাওয়া ঐ পিতাকে সান্ত্বনা দিল।
‘আপনার ছেলেটা সত্যিই মরে গেছে?’
সবাই ভদ্রমহিলার দিকে তাকাল। বৃদ্ধ লোকটাও, ভয়াবহভাবে স্ফীত ছলছলে উজ্জ্বল ধূসর চোখদুটো মহিলাটির মুখের দিকে গভীরভাবে স্থাপন করে। সে জবাব দেয়ার চেষ্টা করল, কিন্তু কথা ফুটল না মুখে। সে ঐ নারীর দিকে তাকিয়েই রইল, যেন ঠিক তখনই, এই অর্থহীন অসঙ্গত প্রশ্নটির পরেই, সে অনুধাবন করল যে তার সন্তান সত্যিই মরে গেছে, চলে গেছে চিরতরে। তার মুখ সংকুচিত হয়ে গেল, ভয়াবহভাবে বিকৃত হয়ে গেল, সে পকেট থেকে একটা রুমাল বের করে নিল, তারপর সবাইকে স্তদ্ধ করে দিয়ে হৃদয় বিগলিত অপ্রতিরোধ্য মর্মভেদী কান্নায় ভেঙে পড়ল।
অনুবাদক: শিক্ষক, জাককানইবি।
অনুবাদটি বেশ প্রাঞ্জল হয়েছে। বেশ সুখপাঠ্য। ভালো লাগলো একজন নোবেল লরিয়েট লেখক এর লেখা গল্প পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। মৌলিক কিছু লেখা লিখছো কি?
জ্বী স্যার। পাঁচজন নোবেল বিজয়ী লেখকের পাঁচটি গল্প অনুবাদ করেছি। সেগুলো প্রকাশকের কাছে দিয়েছি। আশা করি দ্রুতই প্রকাশিত হবে। এছাড়া মৌলিক গল্পগ্রন্থের কাজও প্রায় শেষ করে এনেছি। আগামী বছর সেটা আসবে ইনশাআল্লাহ।
হয়তো হতে পারে, কিন্তু ও তো আমাদের একমাত্র সন্তান।
‘তাতে তফাৎ টা কোথায়? অতিরিক্ত যত্নে লালিত আপনার একমাত্র ছেলেকে হয়তো বিসর্জন দিতে পারেন আপনি, কিন্তু আপনার যদি কোন সন্তান থাকত তারপরেও আপনি তাকে অন্য সন্তানদের চেয়ে বেশি ভালবাসতে পারতেন না। একজন পিতা ভালবাসার ক্ষেত্রে বৈষম্য করতে পারে না।’
‘আমরা কি নিজেদের স্বার্থের জন্যই সন্তান জন্ম দেই?’
‘আপনি ঠিক বলেছেন, আমাদের সন্তান আমাদের জন্য নয়, তারা দেশের জন্য।’
‘আমাদের কি বিবেচনা করা উচিত নয় আমাদের সন্তানদের যৌবনের এই অনুভূতিকে। এই বয়সে দেশের জন্য তারা ভালবাসাকে গুরুত্ব দিবে এটাই কি স্বাভাবিক নয়?’
উপরের কথাগুলো বেশ নজর কেড়েছে।
স্যার, সত্যিই অনুবাদের ভাষা অসাধারণ শিল্পতা পেয়েছে।
অনেক সুন্দর হয়েছে স্যার। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমাদেরকে আরও চমৎকার কিছু অনুবাদগ্রন্থ সহ মৌলিক কিছু লেখা উপহার দিন। এই প্রত্যাশাই করছি।